Baba Siddique

মৃত্যু নিশ্চিত করতে আধ ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন, জেরায় জানালেন বাবা সিদ্দিকির ‘খুনি’

গুলি চালানোর পর পরই নিজের জামা বদলে ফেলেছিলেন শিবকুমার। এমনকি, কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য বেশ কিছু ক্ষণ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ঘোরাফেরাও করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৫
Share:

(বাঁ দিকে) নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকি। মূল অভিযুক্ত শিবকুমার (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু হয়েছে কি না নিশ্চিত করতে আধ ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরেই ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন শুটার! জেরায় এমনই জানালেন সিদ্দিকি-খুনে মূল অভিযুক্ত শিবকুমার গৌতম।

Advertisement

মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পর পরই নিজের জামা বদলে ফেলেছিলেন শিবকুমার। এমনকি, কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য বেশ কিছু ক্ষণ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ঘোরাফেরাও করেছিলেন। গুলিবিদ্ধ নেতাকে যখন লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও শিবকুমার হাসপাতালের বাইরে ভিড়ের মধ্যে মিশে অপেক্ষা করছিলেন। সিদ্দিকি যে বেঁচে নেই, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এলাকা ছাড়েন অভিযুক্ত। এর পর ঘটনাস্থল থেকে অটোতে চেপে পৌঁছন কুরলা। সেখান থেকে ট্রেনে ঠাণে। ঠাণে থেকে ফের ট্রেন বদলে পুণে। তার পর দীর্ঘ এক মাসের আত্মগোপন!

দেশ ছেড়ে নেপালে পালানোর ঠিক আগে রবিবার উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ থেকে শিবকুমার এবং তাঁর চার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের টানা জেরায় জানা গিয়েছে, শিবকুমারকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় বোঝানো হয়েছিল, যে কাজ তিনি করতে চলেছেন, সেটি বিশ্নোই সমাজ এবং ঈশ্বরের স্বার্থে। এর পরেই সাতপাঁচ না ভেবে সিদ্দিকিকে খুনের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শিবকুমারের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল উজ্জয়িনী স্টেশনে গিয়ে দুই শাগরেদ ধর্মরাজ ও গুরমেলের সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। এর পর বাধ্য হয়ে পুণেতেই সাত দিন কাটান শিবকুমার। তার পর উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসী পৌঁছন। সেখানে আরও পাঁচ দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর লখনউয়ে যান। সেখান থেকে বহরাইচ। শেষমেশ সেখানেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে উত্তরপ্রদেশ এবং মুম্বই পুলিশের যৌথ দল।

গত ১২ অক্টোবর পুত্র জিশানের দফতরের বাইরে খুন হন বাবা সিদ্দিকি। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement