মাটির নীচে অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল বিহারে। ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের থালা বানানোর কারখানার আড়ালে রমরমিয়ে তৈরি হচ্ছিল অস্ত্র! ভিন্রাজ্যে মাটির তলার চেম্বারে এমনই এক অস্ত্র কারখানার হদিস পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বুধবার রাতে বিহারের তারাপুরে ওই কারখানার সন্ধান মিলেছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে বিহারের তারাপুরে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সঙ্গে ছিল স্থানীয় পুলিশ এবং বিহার পুলিশের এসটিএফ-এর যৌথ দল। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি খাবারের থালা বানানোর কারখানার নীচে মাটির তলায় গোপন কুঠুরির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘরেই দীর্ঘ দিন ধরে গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হত। সেখান থেকে বন্দুক-পিস্তলের নানা যন্ত্রাংশও উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিরা হলেন ওই কারখানার মালিক মহম্মদ মোনাজির হুসেন এবং তাঁর শ্যালক মহম্মদ নাসিম। ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি ৭ এমএম পিস্তলের যন্ত্রাংশ, ৬টি পিস্তলের বাট এবং ১টি লেদ মেশিন। এ ছাড়াও ড্রিলিং মেশিন-সহ অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে এমন নানা যন্ত্রাংশ এবং কাঁচামালও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এই নিয়ে তিন বছরে ১৪টি অস্ত্র কারখানার হদিস পেল কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল। মাসখানেক আগেই বিহারের ভাগলপুরে আর এক বেআইনি বন্দুক তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। সেই অভিযানেও বহু আগ্নেয়াস্ত্র ও কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বেআইনি ভাবে তৈরি হওয়া সেই সব বন্দুক সীমানা পেরিয়ে এ রাজ্যে প্রবেশ করে। এর জেরে রাজ্যেও উত্তরোত্তর বাড়ছে নানা অপরাধমূলক কাজ। এর পরেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বিহারে পাড়ি দেয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।