সুপ্রিম কোর্টে চলছে অযোধ্যা মামলার শুনানি।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি মামলার শুনানি শেষ করতে হবে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে। তার পরে সওয়াল করার জন্য সময় পাবেন না কোনও পক্ষই। এ সঙ্গেই বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তার পরের চার সপ্তাহের মধ্যে যদি অযোধ্যা মামলার রায় দেওয়া যায়, সেটা দৈব ঘটনার মতো ব্যাপার হবে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন। তার আগেই অযোধ্যার রায় দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে আজ ছিল ৩২ তম শুনানি। দেওয়ালিতে সুপ্রিম কোর্টে এক সপ্তাহ ছুটি থাকবে। সে দিকে তাকিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, শুনানি ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এ জন্য সব পক্ষের হাতে ১০ দিনেরও বেশি সময় থাকছে। দ্রুত শুনানি শেষ করতে গত সপ্তাহ থেকেই অবশ্য শনিবারেও কাজ করার কথা বলেছে কোর্ট। তবে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে শুনানি শেষ করার কথা বললেও সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার রাস্তাও খুলে রেখেছে। জানিয়েছে, সব পক্ষ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতেই পারে। যদি তারা চায়, শীর্ষ আদালতের সামনেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে। অযোধ্যা বিতর্কে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের রাস্তা খুঁজে না পাওয়ার পরেই অবশ্য রোজ মামলার শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এ দিনই অযোধ্যা নিয়ে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের রিপোর্টের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান বদল করেছে মুসলিম পক্ষ। ২০০৩ সালের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বাবরি মসজিদের আগে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে পুরনো কাঠামো ছিল। মুসলিম পক্ষের আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা বুধবার বলেছিলেন, ওই রিপোর্টের অধিকাংশ অনুমানের ভিত্তিতে তৈরি। আর পুরাতত্ত্ব পদার্থবিদ্যা কিংবা রসায়নের মতো বিজ্ঞান নয়। আজ মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধবন এ ব্যাপারে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।