দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: রয়টার্স।
বিমান ভেঙে পড়ার আগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। এমনই দাবি করেছেন কাজ়াখস্তানে দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা এক যাত্রী। আর এখান থেকেই সন্দেহ এবং নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি হামলার শিকার হয়েছিল আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটি? সেই সন্দেহকে আরও দৃঢ় করেছে বিমানের গায়ে বড় একটি ছিদ্র। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানের গায়ে একটি বড় ছিদ্র লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়ার ড্রোন হামলার পরই বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোন হামলার কারণে এর আগেও ওই এলাকায় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল মাঝেমধ্যেই। বিমান যে পথ ধরে রাশিয়ায় যাচ্ছিল সেই পথে আগেও ড্রোন হামলা হয়েছে। আর এখান থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধছে, তা হলে কি যাত্রিবাহী বিমানটিকে ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে ভুল করে রাশিয়া পাল্টা হামলা চালিয়েছে? এমনই বেশ কয়েকটি তথ্য ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়েছে, পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরই বিমান নিয়ন্ত্রণ হারায়। তার পরই বিমানের অক্সিজেন ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ হয়। তা হলে ভেঙে পড়ার আগে সেই বিস্ফোরণের আওয়াজই শুনেছিলেন যাত্রীরা? বেঁচে ফেরা যাত্রীর দাবি ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
‘ফাইটারবম্বার’ নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিমানে বড় বড় ছিদ্রের ছবি এবং ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়ো এবং ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সেই ভিডিয়ো এবং ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়েছে, হামলার শিকার হয়েছে বিমানটি? ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য বলছে, বিমানে জিপিএস জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। কারণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও জিপিএস জ্যাম করার অভিযোগ উঠেছিল।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৮ মিনিটে বাকু থেকে রওনা দেয় আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের ই১৯০এআর বিমানটি। ৫৭ মিনিটের মধ্যে চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজ়নিতে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু ওড়ার কিছু ক্ষণ পরই সেটি পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা খায় বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়েছে। তার পরই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।