অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লি হাই কোর্টে নতুন করে আবেদন করলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বৃহস্পতিবার কেজরীওয়াল আদালতে যে আবেদন করেছেন, সেখানে ইডি যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘কঠোর পদক্ষেপ’ না করে, সেই আর্জি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ইডির তলবে সাড়া দিলে তাঁকে যেন গ্রেফতার না করা হয়, সেই নিশ্চয়তারও আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইথের বেঞ্চ বৃহস্পতিবারই কেজরীওয়ালের আর্জি শুনতে পারে। আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরীওয়াল বলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।” আপের অভিযোগ, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এত দিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা ভোটের আগে সমন পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
কেজরীওয়াল এই মামলায় আগে যে আবেদনটি করেছিলেন, বুধবার দিল্লি হাই কোর্টে তার শুনানি হয়। কেজরীওয়ালের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আদালতে তিনি দাবি করেন যে, ভোটের আগে কেজরীওয়ালকে ‘গ্রেফতারির লক্ষ্য’ নিয়েই এগোচ্ছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি অবশ্য কেজরীওয়ালের আর্জির বিরোধিতা করে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ এপ্রিল। তবে বুধবার আদালত জানায়, মামলাকারী (কেজরীওয়াল)কে কোনও রক্ষাকবচ বা সুরাহা দেওয়া হচ্ছে না। তার পরই দিল্লি হাই কোর্টে ফের নতুন আর্জি করলেন আপ প্রধান। গত ১৬ মার্চ আবগারিকাণ্ডে ইডির করা মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীওয়ালকে জামিন দেয়। ইডির বক্তব্য ছিল, বার বার সমন পাঠানো হলেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে আবগারি মামলায় মোট ন’বার কেজরীওয়ালকে তলব করেছে ইডি। তার মধ্যে আট বারই হাজিরা এড়িয়েছেন কেজরীওয়াল। বিআরএস নেত্রী কে কবিতা ছাড়াও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে গিয়েছেন। অভিযোগ ওঠে যে, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়।