রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে পাইলটকে বসানো নিয়ে সওয়াল করলেন রাজস্থানের পরিবেশ মন্ত্রী. — ফাইল ছবি।
ভারতকে জুড়তে পদযাত্রায় বেরিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তার মাঝেই আবারও ফাটল মাথাচাড়া দিয়ে উঠল দলে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীই এ বার দাবি করলেন, তাঁকে সরিয়ে বসানো হোক সচিন পাইলটকে। কারণ জনমত পাইলটেরই সঙ্গে।
আগামী বছর রাজস্থানে বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে পাইলটকে বসানো নিয়ে সওয়াল করলেন রাজস্থানের পরিবেশ মন্ত্রী হেমরাম চৌধরি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, গত সেপ্টেম্বরে গহলৌত-ঘনিষ্ঠ যে ৮০ জন বিধায়ক শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন, তাঁদেরও শাস্তি দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, অক্টোবরে ছিল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তখন গহলৌতকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি সভাপতি হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে পারেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী পাইলট, এ রকমই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে সময়ই গহলৌত ঘনিষ্ঠ ৮০ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে সরিয়ে দেন গহলৌতকে।
গহলৌত-ঘনিষ্ঠ হেমরামের মতে, ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দলের মধ্যে ভুল বার্তা যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘দলের সাধারণ সম্পাদক বেণুগোপাল নিশ্চিত করেছিলেন যে, ২৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনা নিয়ে পরের দু’দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দল।’’
এর পরেই পাইলটের হয়ে কথা বলেন হেমরাম। জানান, গত দু’বছর ধরে কোনও পদে নেই পাইলট। তার পরেও তিনি যা কাজ করে গিয়েছেন, তা সকলের জানা। তাঁর কথায়, ‘‘জনগণের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় পাইলট। তাঁর সব কর্মসূচিতে জনসমাগম হয়। যদিও তিনি কোনও পদে নেই। এ ধরনের জনপ্রিয়, বিখ্যাত নেতাকে সুযোগ না দিলে দল কী ভাবে মজবুত হবে?’’
ডিসেম্বরে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ রাজস্থানে পৌঁছবে। তার আগে ফের সরগরম রাজস্থানের রাজনীতি। আর সেই সুযোগে ২৯ নভেম্বর থেকে রাহুলের যাত্রাকে মাত দিতে ‘জন আক্রোশ যাত্রা’ শুরু করছে বিজেপি। ডিসেম্বরের শুরুতে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজস্থানের ঝালওয়ারে পৌঁছবে সেই যাত্রা। তার আগে আবারও গহলৌত আর পাইলট শিবিরের দ্বন্দ্ব চরমে। তার প্রভাব কি পড়বে আগামী বছরের ভোটে! এখন সেটাই দেখার।