যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
যমুনার জলে ভাসছে রাজধানী। আইটিও মোড়-সহ বিভিন্ন রাস্তা জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে নামল সেনা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার সাহায্য চান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। প্লাবন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার সাহায্য নিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কার পরই জল-যন্ত্রণা মোকাবিলায় নামল সেনা। পাশাপাশি, জলসঙ্কটেও জেরবার দিল্লির বাসিন্দারা। ওয়াজ়িরাবাদ, চন্দ্রওয়াল এবং ওখলায় জল শোধনাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জলের জন্য নলকূপের সামনে বালতি নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন বাসিন্দারা।
১৯৭৮ সালের বর্ষায় দিল্লিতে যমুনার জলস্তর ২০৭.৪৯ মিটার ছিল। বুধবার সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। বুধবার দুপুর ১টায় দিল্লি রেলসেতুর কাছে যমুনার জলস্তর উঠেছিল ২০৭.৫৫ মিটার। যা গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার সেই জলস্তর আরও বাড়ল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় যমুনার জলস্তর ছুঁয়েছে ২০৮.৬৬ মিটার। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়া হচ্ছে নদীতে। যার জেরে যমুনার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। শুক্রবার সকালে যমুনার জলস্তর সামান্য কমেছে। সকাল ৯টা নাগাদ যমুনার জলস্তর ছুঁয়েছে ২০৮.৪০ মিটার। কেন্দ্রীয় জল কমিশন মনে করছে, দুপুর ১টা নাগাদ জলস্তর আরও সামান্য কমে ২০৮.৩০ মিটার হতে পারে।
বানের জলে ভাসছে রাজধানী। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রয়েছে জি২০ সম্মেলন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে কম হারে জল ছাড়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার যমুনার জল ঢুকে পড়েছিল লালকেল্লা চত্বরে। লালকেল্লার দেওয়াল ছুঁয়েছে যমুনার জল। শুক্রবার যমুনার জল ঢুকে পড়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছেও। ডুবেছে রাজঘাট। বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। রবিবার পর্যন্ত স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।