অতিশী এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন কেজরী। এ বার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ জানালেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লির সিভিল লাইন্স এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনও ছাড়বেন কেজরী।
সঞ্জয় বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আপ নেতারা কেজরীওয়ালকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, যাতে তিনি অন্তত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সরকারি বাসভবন না ছাড়েন। কিন্তু কেজরী আমাদের পরামর্শ মানেননি। এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ওই বাসভবন ছেড়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেছেন, ‘ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন’!’’
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ছ’মাস তিহাড় জেলে ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেল থেকে মুক্তি পান। এর পর রবিবার দুপুরেই দলীয় এক সম্মেলনে আপ প্রধান বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন এই আসনে আর ফিরব না।” পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁর নাম আপাত ভাবে চূড়ান্ত করতে মুখ্যমন্ত্রীর ওই বাসভবনেই দফায় দফায় বৈঠকে বসেন আপের শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন মণীশ সিসৌদিয়া, রাঘব চড্ডা-সহ দলের প্রথম সারির নেতারা। মঙ্গলবার সকালে ফের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকের পরেই জানিয়ে দেওয়া হয়, কেজরীওয়ালের উত্তরসূরি হবেন আপের নবনির্বাচিত পরিষদীয় নেতা অতিশী মারলেনা। এর পর সে দিনই সন্ধ্যায় দিল্লির উপরাজ্যপালের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন কেজরী। কেজরীর সঙ্গেই উপরাজ্যপালের কাছে গিয়ে দিল্লিতে নতুন সরকার গড়ার দাবি জানান অতিশী। কেজরীর স্থানে তিনিই হতে চলেছেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী।