Junaid Khan

শৈশবে জটিল রোগে ভুগেছেন জুনেইদ! ‘তারে জ়মিন পর’-এর চিত্রনাট্য পড়ে টনক নড়ে আমিরের

২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমিরের ‘তারে জ়মিন পর’। এই ছবির চিত্রনাট্য পড়ার পরেই নিজের পুত্র জুনেইদের অসুস্থতা বুঝতে পারেন আমির ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রিনা দত্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৪
Share:

ছেলের অসুখের কথা কী ভাবে জানেন আমির? ছবি: সংগৃহীত।

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন আমির-পুত্র জুনেইদ খান। শৈশবেই দেখেছিলেন বাবা-মাকে আলাদা হয়ে যেতে। তার কিছু প্রভাবও ছিল জীবনে। এই সব আলোচনার মধ্যেই জুনেইদ জানান, শৈশবে তিনি এক জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। পুত্র যে এই বিশেষ রোগে আক্রান্ত, তা বুঝতেও অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল আমির খানের।

Advertisement

২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমিরের ‘তারে জ়মিন পর’। এই ছবির চিত্রনাট্য পড়ার পরেই নিজের পুত্র জুনেইদের অসুস্থতা বুঝতে পারেন আমির ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রিনা দত্ত। চিত্রনাট্য পড়ার পরেই তাঁদের টনক নড়ে এবং উপসর্গে মিল খুঁজে পান তাঁরা— ‘এই অসুস্থতা তো আমাদের ঘরেও রয়েছে।’

মাত্র ছয়-সাত বছর বয়স থেকে ‘ডিসলেক্সিয়া’ নামের রোগে আক্রান্ত জুনেইদ। এই রোগে আক্রান্ত হলে লেখা, পড়ার ক্ষেত্রের কিছু সমস্যা তৈরি হয়। জুনেইদ বলেছেন, “আমার বাবা-মা ‘তারে জ়মিন পর’-এর চিত্রনাট্য পড়ার পরে চমকে গিয়েছিলেন। ওদের পড়ার মনে হয়েছিল, ‘আরে! আমরাও এই ধরনের অসুস্থতা দেখেছি’।” এর পরেই চিকিৎসকের কাছে জুনেইদকে নিয়ে যান আমির ও রিনা। চিকিৎসক জানান, জুনেইদ ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত। অভিনেতার কথায়, “আমি সত্যিই ভাগ্যবান। বড় হয়ে ওঠার সময়ে এই রোগ আমার উপরে সেই ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।”

Advertisement

পড়াশোনা নিয়ে কখনওই জুনেইদকে চাপ দেননি আমির ও রিনা। কখনওই এমন কোনও ফতোয়া ছিল না, ক্লাসে প্রথম বা দ্বিতীয় হতে হবে। বরং তাঁকে উৎসাহ দিয়ে বলা হয়েছিল, “যে কাজই করবে, মন দিয়ে করবে।”

‘মহারাজ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ের সফর শুরু জুনেইদের। আগামীতে তাঁকে খুশি কপূরের বিপরীতে ‘লভইয়াপ্পা’ ছবিতে দেখা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement