দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। ইডির মামলায় আগেই তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন। এ বার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন মিলল।
আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরী। জামিন চেয়ে প্রথমে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা যায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর সেই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চে। তার পর রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সেই রায় ঘোষণা হল।
নিম্ন আদালতে না গিয়ে প্রথমেই কেন দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছেন কেজরী, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সেই প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল। ওই যুক্তিতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। তবে কেজরীর জামিন আটকাল না।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরী। ফলে তিনিই হয়েছেন দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে দলের হয়ে প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে শীর্ষ আদালত কয়েক দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল। পরে আবার তিনি তিহাড়ে আত্মসমর্পণ করেন।
ছ’মাস পর জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন কেজরী। এর আগে ইডির মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি পাননি তিনি। কারণ, সিবিআইয়ের মামলা তখনও ঝুলে ছিল। এ বার দুই মামলাতেই তাঁকে জামিন দেওয়া হল।
শুক্রবার কেজরীকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া মন্তব্য করেন, ‘‘ইডির মামলায় কেজরীওয়াল যাতে জামিনে মুক্তি না পেয়ে যান, সেই কারণেই সম্ভবত সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।’’
বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। জেল থেকে বেরোনোর পর তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না। নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এ ছাড়া, প্রকাশ্যে এই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।