— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে আহত হলেন দুই সেনা জওয়ান। শনিবার ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুর জেলার জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে।
বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, শনিবার জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীদের একটি দল। তখনই আইইডি বিস্ফোরণে আহত হন ওই দুই জওয়ান। তাঁরা এখনও চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, দান্তেওয়াড়া পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার আর একটি পৃথক ‘এনকাউন্টার’-এর ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৮ জন মাওবাদী। ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়া-নারায়ণপুর সীমানার অদূরেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এক প্রস্ত গুলির লড়াইয়ের পর অন্তত ৩৮ জন মাওবাদীর মৃত্যুর খবর মেলে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত মাওবাদীদের মোট মাথার দাম ছিল ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৩১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৯ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে এই মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ছ’হাজার ৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। তবে সেই তুলনায় ২০২৩ সালে মাওবাদী-হানায় হিংসার ঘটনা ৭২ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুও কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ। সম্প্রতি পিটিআইয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৮১২ জন। আত্মসমর্পণ করেছেন ৭২৩ জন মাওবাদী। ইতিমধ্যেই মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। মাওবাদীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণ নীতিতেও বদল আনা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী দিনে মাওবাদকে দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করাই এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য।