সংসদে তাওয়াং নিয়ে সরব বিরোধীরা। ছবি পিটিআই।
অরুণাচল প্রদেশ এবং চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ নিয়ে বুধবারও সরগরম রইল সংসদ। সংসদে এ নিয়ে আলোচনার দাবি জানায় কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। কিন্তু বিরোধীদের সেই দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়। দাবি নাকচ হয়ে যাওয়ার পর বুধবার সংসদের দুই কক্ষ থেকেই বেরিয়ে যান কংগ্রেসের সাংসদরা। তাঁদের অনুসরণ করেন তৃণমূল, ডিএমকে, এনসিপি-সহ অন্য বিরোধী দলের সাংসদরাও।
আগেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে একটি বৈঠকে সরকারপক্ষকে তাওয়াং নিয়ে চাপে রাখার রণকৌশল নিয়েছিল সতেরোটি বিরোধী দল। সেই মতো বুধবারও এ নিয়ে সরকারপক্ষের কাছে আলোচনা দাবি করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। চিনের আগ্রাসী নীতিকে কোন উপায়ে মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার, তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের অবস্থান জানতে চান বিরোধীরা।
বুধবার সংসদে খড়্গে জানান, চিন তার আগ্রাসী নীতি নিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ছে। বিরোধীরা চান সংসদে এ নিয়ে বিতর্ক হোক। সরকার তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুক। কিন্তু রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ জানান, বিতর্কের জন্য বিরোধীদের তরফে তিনি কোনও নোটিস পাননি। তাই বিরোধীদের দাবি মানা সম্ভব নয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও ‘জ়িরো আওয়ারে’ বিরোধীদের সংসদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু লোকসভায় সনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং রাজ্যসভায় খড়্গের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা ‘ওয়াক আউট’ করেন।
গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংসদের দুই কক্ষেই জানিয়েছিলেন, গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াংয়ের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ভাঙতে চেয়েছিল চিন। তাঁর মোকাবিলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধীরা। তাঁরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি করেন।