মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে নিয়ে জাভেরবেন কুশলভাই পারমার। ছবি: সংগৃহীত।
সত্তরের ঘরে বয়স হলেও দিব্যি হেঁটেচলে বেড়ান জাভেরবেন কুশলভাই পারমার। গুজরাতের বরোদার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধাই সম্প্রতি পুরসভার তরফে ডাকমাধ্যমে একটি চিঠি পান। চিঠির সঙ্গে ছিল তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রও। সেখানে লেখা ছিল গত ১৭ জুলাই নাকি তিনি মারা গিয়েছেন! তাঁর পরিবার বরোদা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন পুর কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে দেখা যায়, ১৭ জুলাই বরোদা পুর এলাকাতেই ওই একই নামের এক বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। কাকতালীয় ভাবে সেই বৃদ্ধার স্বামীর নাম এবং বয়সও হুবহু মিলে যায় জাভেরবেনের সঙ্গে। আর সেখানেই হয় বিভ্রাট।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, জীবিত জাভেরবেন বরোদার কার্জন তালুকের হান্দর গ্রামের বাসিন্দা। বরোদার ছোটে উদেপুরের সাংখেদা তালুকের বাসিন্দা ছিলেন মৃত জাভেরবেন। তিনি শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট নিয়ে সায়াজিরাও গায়কোয়াড় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ১৭ জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালের তরফে নথি পৌঁছয় পুরসভার কাছে। পুরসভার তরফে মৃত্যুর শংসাপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় জীবিত জাভেরবেনের ঠিকানায়। মৃতার আধার কার্ড-সহ অন্য নথি খতিয়ে দেখার পরেও এই ভুল হল কী করে, তা খতিয়ে দেখছে পুরসভা।