২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফাইল ছবি।
ফরেনসিক সায়েন্সের ক্লাসে ধর্ষণের ‘পৌরাণিক উদাহরণ’ দিয়ে সাসপেন্ড হলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। জিতেন্দ্র কুমার নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ এনেছেন পড়ুয়ারা।
অভিযোগ, ক্লাসে ভারতে ধর্ষণ নিয়ে ক্লাসে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করেন ওই শিক্ষক। তাতে উদাহরণ হিসাবে তিনি টেনে আনেন নানা পৌরাণিক কাহিনি। নিজের মেয়েকে ব্রহ্মার ধর্ষণ, ঋষি গৌতমের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেবরাজ ইন্দ্রের সম্পর্ক এবং ধর্ষণ, তুলসি বিবাহ, জালন্ধরের রাজার স্ত্রীকে বিষ্ণুর ধর্ষণ ইত্যাদি পৌরাণিক ঘটনা থেকে নির্ভয়া ধর্ষণ মামলা, মথুরা ধর্ষণ থেকে হিন্দু বিবাহের রকম নিয়ে ক্লাস শুরু করেন ওই শিক্ষক। আর তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক।
পড়ুয়াদের বড় অংশ নেটমাধ্যমে এই ঘটনা তুলে ধরে নিন্দাজনক পোস্ট করেন। পাশাপাশি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তীব্র বিতর্কের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা চিকিৎসা বিভাগের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে শিক্ষকের ওই মন্তব্যের সমালোচনার পাশাপাশি তাঁকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী তথা সাধারণের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওই অধ্যাপককে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।