গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
হিজাব বিতর্কে এ বার ঢুকে পড়ল আল কায়দা। জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আয়মান অল জাওয়াহিরি ভিডিয়োবার্তায় ভূয়সী প্রশংসা করলেন হিজাব বিতর্কের সময় শিরোনামে আসা কর্নাটকের কলেজ পড়ুয়া মুসকান খানের। পাশাপাশি জঙ্গি নেতা উপমহাদেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একজোট হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন বাদে আবার জাওয়াহিরিকে ভিডিয়ো মাধ্যমে দেখা গেল। ২০২০-তে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। মঙ্গলবার আল কায়দা প্রকাশিত ৯ মিনিটের ভিডিয়োয় জাওয়াহিরিকে শুধুমাত্র ভারতের হিজাব বিতর্ক নিয়েই বক্তৃতা করতে শোনা গিয়েছে। সেখানে মুসকানের প্রশংসার পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে একটি কবিতাও শুনিয়েছেন জঙ্গিনেতা। ডাক দিয়েছেন, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহারের পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র হাতে নামার।
কর্নাটকের একটি কলেজে হিজাব পরার বিরোধিতা করে গৈরিক উত্তরীয় পরে ঢুকে পড়েছিলেন একদল হিন্দুত্ববাদী ছাত্র। ওই কলেজের ছাত্রী মুসকান খান হিজাব পরেই মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁদের। জানিয়েছিলেন, হিজাব পরা তাঁর জন্মগত অধিকার। গৈরিক বাহিনীর সম্মিলিত ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির বিপরীতে দাঁড়িয়ে একা মুসকান ‘আল্লা হু আকবর’-এর পাল্টা ধ্বনিও তুলেছিলেন। গোটা কর্নাটক তো বটেই, এই ঘটনার প্রভাব পড়ে দেশ জুড়ে। কর্নাটক সরকার কলেজে হিজাব পরে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শুরু হয় বিতর্ক। হিজাব মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কর্নাটক হাই কোর্ট সরকারের পক্ষেই রায় দেয়। এখন বিষয়টি দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এ বার এই বিতর্কে অযাচিত ভাবে ঢুকে পড়ল সারা বিশ্বে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা।
আল কায়দার মতো বিশ্ব জুড়ে নিন্দিত গোষ্ঠীর প্রধানের ভারতের কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এতটা সময় ব্যয়কে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের একটি অংশ বলছেন, এর অর্থ হল, ভারতকে নিয়ে চিন্তাভাবনা জারি রেখেছে আল কায়দা। যা যথেষ্টই চিন্তার।
২০১৪-য় শেষবার ভারত সম্পর্কিত কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল জঙ্গি সংগঠনটি।