ডিকে শিবকুমার, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং সিদ্দারামাইয়া। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে জয়ের ৫ দিন পরে, বৃহস্পতিবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদেও বহাল থাকবেন শিবকুমার।’’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন শিবকুমার। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সিদ্দারামাইয়ার নাম ঘোষণা করা হতে পারে। শিবকুমার বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে তাঁর এবং সিদ্দারামাইয়ার ছবি টুইট করেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘কর্নাটকের নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং আমাদের জনগণের কল্যাণই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আর এর নিশ্চয়তা দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’ আগামী শনিবার নয়া সরকার শপথ নিতে পারে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
কংগ্রেসের একটি সূত্রে আগেই খবর ছিল, শেষ পর্যন্ত কর্নাটকের ক্ষেত্রে রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ় ‘মডেল’ অনুসরণ করতে পারে হাইকমান্ড। সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শিবকুমারকে। সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল বৃহস্পতিবার। নয়া মন্ত্রিসভায় শুধুমাত্র শিবকুমারই উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন। এর ফলে ভবিষ্যতে দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যেও ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দলের অন্দরে সংঘাতের আবহ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটের পরে রাজস্থানে অশোক গহলৌতকে মুখ্যমন্ত্রী করে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়। সরকারে গুরুত্ব না পেয়ে বিদ্রোহ করেন পাইলট। অন্য দিকে, ছত্তীসগঢ়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বঘেলকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিদায়ী বিরোধী দলনেতা টিএস সিংহদেওকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সরগুজার রাজপরিবারের সদস্য সিংহদেওকে আড়াই বছর পরে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঘেল গদি ছাড়তে রাজি হননি।
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এ বার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। সহযোগী ‘সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষ’ জিতেছে ১ আসনে। রবিবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় খড়্গেকে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের নেতৃত্বে ৩ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের ‘পছন্দ’ জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক সিদ্দাকেই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বলে এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে।