দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করলেন সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিদ্দারামাইয়া সোমবার গিয়েছিলেন দিল্লিতে। মঙ্গলবার গেলেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। তাঁরা দু’জনেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিকেল ৫টার সময় খড়্গের ১০ রাজাজি মার্গের বাংলোয় গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন শিবকুমার। তিনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পৌঁছন সিদ্দারামাইয়া।
কর্নাটকের দুই ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’র সঙ্গে বৈঠকের আগে মঙ্গলবার সকালে খড়্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ওই সূত্রের খবর, বুধবার বেঙ্গুলুরু গিয়ে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন কংগ্রেস সভাপতি। বৃহস্পতিবার শপথ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের কয়েক জন সদস্য। সিদ্দারামাইয়া চলে যাওয়ার পরে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল যান খড়্গের বাড়িতে। সেখানে ঢোকার আগে বলেন, ‘‘শীঘ্রই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।’’ এর কিছুক্ষণ পরে কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও পৌঁছন ১০ রাজাজি মার্গে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ‘অল ইন্ডিয়া বীরশৈব মহাসভা’র তরফে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে এক জন লিঙ্গায়েত নেতাকে বসানোর দাবি তোলা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি তথা প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক শামানুরু শিবশঙ্করাপ্পা বলেন, ‘‘কর্নাটকে কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে লিঙ্গায়েতরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। দলের তরফে এ বার ৪৬ জন লিঙ্গায়েত নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ৩৭ জন জিতে এসেছেন। ২০১৮-য় জিতেছিলেন মাত্র ১৩ জন। তাই আমরা এক জন লিঙ্গায়েত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছি।’’ খড়্গের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রাক্তন মন্ত্রী শামানুরু নিজেকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন বলে কংগ্রেসের অন্দরের খবর।
প্রসঙ্গত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এ বার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। সহযোগী ‘সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষ’ জিতেছে ১ আসনে। রবিবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় খড়্গেকে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের নেতৃত্বে ৩ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের ‘পছন্দ’ জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে।