কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার জন্য পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব ঘিরে জল্পনার মধ্যেই কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকলেন ডিকে শিবকুমার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে তিনি ওই বৈঠক ডেকেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুর কুইন্স রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর ইন্দিরা গান্ধী ভবনে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের পাশাপাশি বিধান পরিষদের সদস্য এবং কর্নাটক থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের ডাকা হয়েছে ওই বৈঠকে। বুধবার কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা জানিয়েছিলেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই কন্নড় রাজনীতিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ মোড়’ দলের অন্দরের খবর।
কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত কর্নাটকের ক্ষেত্রে রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ় ‘মডেল’ অনুসরণ করতে পারে হাইকমান্ড। সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শিবকুমারকে। ফলে ভবিষ্যতে দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যেও ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দলের অন্দরে সংঘাতের আবহ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটের পরে রাজস্থানে অশোক গহলৌতকে মুখ্যমন্ত্রী করে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়। সরকারে গুরুত্ব না পেয়ে বিদ্রোহ করেন পাইলট। অন্য দিকে, ছত্তীসগঢ়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বঘেলকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিদায়ী বিরোধী দলনেতা টিএস সিংহদেওকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সরগুজার রাজ পরিবারের সদস্য সিংহদেওকে আড়াই বছর পরে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঘেল গদি ছাড়তে রাজি হননি।
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এ বার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। সহযোগী ‘সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষ’ জিতেছে ১ আসনে। রবিবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় খড়্গেকে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের নেতৃত্বে ৩ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের ‘পছন্দ’ জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক সিদ্দাকেই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বলে এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে।