(বাঁ দিক থেকে) পুতিন এবং জ়েলেনস্কি। — ফাইল চিত্র।
মস্কোর থিয়েটারে জঙ্গি হামলার সঙ্গে ইউক্রেনের দূরতম সম্পর্ক নেই। শনিবার স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। শুক্রবার গভীর রাতের ওই হামলা প্রসঙ্গ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দফতরের তরফে একটি টেলিগ্রাম পোস্টে এই দাবি করা হয়েছে।
জ়েলেনস্কির দফতরের আধিকারিক মিখাইলো পোদোলাক ওই পোস্টে লিখেছেন, “একটি বিষয় স্পষ্ট করে জানাতে চাই। মস্কোর এই ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও সংশ্রব নেই।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শহরের ক্রাসনোগরস্ক এলাকার ক্রকাস সিটি হলে একটি কনসার্ট চলাকালীন শুক্রবার রাতে ওই হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত বেশ কয়েক জন। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় নিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনে ধারাবাহিক ভাবে হামলার অভিঘাত বাড়িয়েছে রুশ ফৌজ। শুক্রবার রাতেও কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী জ়াপোরিজ়িয়ার নিপ্রো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস করেছে রুশ সেনা। ওই হামলা প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘রুশ সন্ত্রাসবাদীরা কী করছে, তা গোটা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র, জ্বালানি পরিষেবার লাইন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, বাঁধ, সাধারণ জনবসতি, কিছুই রেহাই দিচ্ছে না ওরা।’’
এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ভাবে মস্কোয় হামলার পিছনে কিভের ‘ভূমিকা’ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু জ়েলেনস্কি তা খারিজ করেছেন। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্ভবত আফগানিস্তানে ‘সক্রিয়’ আইএস(খোরাসান)-এর আত্মঘাতী বাহিনী মস্কোর থিয়েটারে হামলা চালিয়েছে। ২০২২ সালে এই বাহিনী কাবুলের রুশ দূতাবাসে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আইএস ডেরায় বিমান হামলা চালিয়েছে পুতিনের বায়ুসেনা। স্থলপথেও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানে অংশ নিচ্ছে রুশ সেনা। তারই জবাব দিতে এই হামলা। ২০০২ সালে মস্কোর দুব্রোভকা থিয়েটার হলে কনসার্ট চলাকালীন হামলা চালিয়েছিল চেচেন জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৭২ জন। রুশ কমান্ডোদের প্রত্যাঘাতে খতম হয় জঙ্গিরাও।