আমেরিকার আদালতে হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আদানিদের হয়ে সওয়াল করবে ওয়াচটেল। — ফাইল ছবি।
নিউ ইয়র্কের শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে ভিত নড়ে গিয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট আদানি গোষ্ঠীর। বাজার অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আদানিগোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি এ বার সেই হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে লড়াইকে আইনের আঙিনায় নিয়ে আসতে চলেছেন। সে জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা নিউ ইয়র্কের ‘ওয়াচটেল, লিপ্টন, রোজ়েন অ্যান্ড কাটজ়’কে নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে ‘ফিনান্সিয়াল টাইমস’-এ।
টুইটার কিনবেন ইলন মাস্ক। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিভিন্ন অছিলায় চুক্তি সই পিছিয়ে যাচ্ছিল বার বার। মাস্ককে আইনি ‘সবক’ শেখাতে সেই সময় টুইটার নিয়োগ করেছিল নিউ ইয়র্কের আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা ‘ওয়াচটেল’কে। আবার শেয়ার হোল্ডারদের সঙ্গে বিবাদ যখন আদালতের চৌহদ্দিতে পৌঁছয় তখন টেসলা এবং মাস্কের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিল এই ‘ওয়াচটেল’ই। এ বার আদানি গোষ্ঠীর হয়ে আমেরিকার আদালতে হিন্ডেনবার্গের উদ্দেশ্য নিয়ে সওয়াল করবে এই আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা। এই আইনি সংস্থাটি কেবল নামজাদাই নয়, তাদের নিয়োগ করতেও কম ‘গ্যাঁটের কড়ি’ খরচ হয় না। জানা যাচ্ছে, আমেরিকায় ওয়াচটেলের পরামর্শই সবচেয়ে মহার্ঘ।
প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘সাম্প্রতিক কালে আদানি গোষ্ঠী নিউ ইয়র্কের ‘ওয়াচটেল, লিপ্টন, রোজ়েন অ্যান্ড কাটজ়’-এর অভিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়োগ করেছে। জানুয়ারি মাসে হিন্ডেনবার্গের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলি হিসাবে গরমিল এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের কারসাজি করে লাভের অঙ্ক বাড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে এই সংস্থা আদানিদের আইনি পরামর্শ দেবে।’’ অন্তত চারটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।
গত ২৫ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম লাগাতার পড়তে থাকে। এতে ভিত নড়ে যায় মোদী ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির সংস্থার। এ বার তার বিরুদ্ধেই জোরকদমে আদালতে নামার তোড়জোড় শুরু করে দিল আদানিরা। হিন্ডেনবার্গ জানিয়েছিল, তাদের রিপোর্টকে অন্যায্য এবং মিথ্যে বলে মনে করলে আদানি গোষ্ঠী যেন তাদের আমেরিকার আদালতে চ্যালেঞ্জ করে। তাতে নিজেদের দাবির পক্ষে এই সংক্রান্ত আরও তথ্য আদালতকে সরবরাহ করতে পারবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এই খবর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, আদানির লড়াইয়ের জল এ বার গড়াতে চলেছে আমেরিকার আদালতে।