সমাজকর্মী সম্ভাজি ভিডে অবশ্য এর আগেও এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে এসেছেন। ফাইল চিত্র।
টিপ না পরায় এক মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে কথাই বললেন না সমাজকর্মী সম্ভাজি ভিড়ে। সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন। জবাবে সম্ভাজি আঙুল উঁচিয়ে তাঁকে বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে কথা বলার আগে আপনি একটা টিপ পরে আসুন।’’ টিপ না পরায় ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরও দেননি ভিড়ে।
ভিড়ে মহারাষ্ট্রের এক সমাজকর্মী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পথেই তাঁকে প্রশ্ন করেন এক মহিলা সাংবাদিক। যার জবাবে ওই উত্তর দেন ভিড়ে। সাংবাদিককে টিপ পরার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘‘টিপ না পরায় বিধবা মনে হচ্ছে’’ সাংবাদিককে।
ওই সাংবাদিকের নাম রূপালি বি। মহারাষ্ট্রের এক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক রূপালি তাঁর সঙ্গে ভিড়ের আচরণের একটি ভিডিয়ো নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন। যেখানে সমাজকর্মীকে স্পষ্ট ওই মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁর পাশে দাঁড়ানো সঙ্গীরা হাসিমুখে মাথা নেড়ে সমর্থন করছেন ভিড়েকে। ভিডিয়োটি নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে রূপালি লিখেছেন, ‘‘আমি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। আমি কী পরব, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আমার আছে বলেই মনে করি।’’ যদিও ওই ভিডিয়ো যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাটি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। ভিড়েকে ওই ভিডিয়োয় স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, টিপ না পরে ‘‘ভারত মাতাকে অপমান করছেন’’ ওই সাংবাদিক। এ ব্যাপারে ভিড়ের যুক্তি, ‘‘ভারত মাতাও বিধবা নন।’’ ঘটনাটিকে একজন মহিলার প্রতি অত্যন্ত তাচ্ছিল্যকর এবং অপমানজনক বলে নিন্দা করে ভিড়েকে জবাবদিহি করতে বলেছে মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশন। ভিড়ের মন্তব্যের নিন্দা করে কমিশন টুইটারে লিখেছে, ‘‘এই মন্তব্যই বলে দেয় মহিলাদের কতটা খাটো চোখে দেখতে অভ্যস্ত এঁরা।’’