শোয়েব ইকবাল, আপ বিধায়ক।
পরিস্থিতির অবনতির কথা বিচার করে যত দ্রুত সম্ভব দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গেলেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক শোয়েব ইকবাল।
দিল্লির মাটিয়া মহলের বিধায়ক তিনি। এই নিয়ে ৬ বার বিধায়ক হয়েছেন। অথচ এর আগে এত অসহায় কখনও হননি তিনি। একটি ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “দিল্লির পরিস্থিতি দেখে আমার কান্না পাচ্ছে। হৃদয় যন্ত্রনায় ফেটে পড়ছে। কোনও অক্সিজেন নেই, ওষুধ নেই। আমার বন্ধু মৃত্যু শয্যায়। অক্সিজেন পায়নি, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাও করা যায়নি তার জন্য। আমি এটাও জানি না যে কোথা থেকে তার জন্য রেমডিসিভির ওষুধ কিনতে পারব।”
এর পর তাঁকে একজন জননেতা হওয়ার জন্য অত্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, “একজন জননেতা হয়ে আজ আমি বিন্দুমাত্র গর্বিত নই বরং অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছি কারণ এই করুণ পরিস্থিতিতে কাউকে এতটুকু সাহায্য করতে পারছি না। সরকারও আমাদের আর কোনও রকম সাহায্য করতে পারছে না। আমি ৬ বারের বিধায়ক অথচ আমার কথাও কেউ শুনছেন না।” এই সমস্ত কারণেই দিল্লিবাসীকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় তাঁর কাছে রাষ্ট্রপতি শাসন। দিল্লি হাইকোর্টের কাছে সেই আবেদনই করেছেন তিনি।
দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি দিল্লির। হাসপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেন-ওষুধের হাহাকার—এ সব তো রয়েইছে, এমনকি দিল্লিতে শ্মশানেও ঠাঁই পাচ্ছে না মৃতেরা। অতিমারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশি। গত তিন-চার সপ্তাহে শুধুমাত্র নথিভুক্ত মৃতদেহ ৩ হাজার ৯৮২। সূত্রের মতে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি কারণ নথিভুক্ত না করেই অগণিত মৃতদেহ দাহ হয়ে যাচ্ছে।