উদ্ধার করা হল আহত তরুণীকে। ছবি: এক্স।
নিজস্বী তুলতে গিয়ে আবারও বিপত্তি। অসাবধানতায় পাহাড়ের ঢাল থেকে ১০০ফুট গভীর খাদে পড়ে যান তরুণী। শনিবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার বর্ন ঘাটে। তরুণীর চোট লাগলেও, শেষে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বছর উনত্রিশের ওই তরুণীর বাড়ি পুণেতে। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন সাতারা জেলার বর্ন ঘাটে। সেখানে পাহাড়ে ঘুরতে ঘুরতে থোসেঘর জলপ্রপাতের কাছে ছবি তুলছিলেন তরুণী। তখনই নিজস্বী তুলতে গিয়ে আচমকা পা ফসকে খাদের মধ্যে গড়িয়ে যান তিনি।
যখন এই অঘটন ঘটে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন হোম গার্ডের এক কর্মী। আরও কয়েক জন প্রশিক্ষিত পর্বতারোহীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অঘটন ঘটতেই দ্রুত তরুণীকে উদ্ধারের জন্য তৎপর হন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল মোটা দড়ি। পাহাড়ের ঢাল বরাবর সেই দড়ি ফেলে দেন তাঁরা। এরপর সেই দড়ি বেয়ে একজন নেমে যান নীচে। আহত তরুণীকে উদ্ধার করে ওই দড়ি বেয়েই আবার উপরে উঠিয়ে আনা হয়। ভয়ে, যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন তিনি।
স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাও ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে উদ্ধারের পর দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে কুম্ভে জলপ্রপাতের কাছে খাদে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণীর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৬ জুলাই। ওই তরুণী ছিলেন একজন সমাজমাধ্যম প্রভাবী। ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিয়ো শেয়ার করতেন সমাজমাধ্যমে। দু্র্ঘটনার দিনও ভিডিয়ো ফ্রেমবন্দি করার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের ওই সমাজমাধ্যম প্রভাবী। রায়গড়ের ওই দুর্ঘটনার পর রবিবার ফের নিজস্বীতে মগ্ন তরুণী পা পিছলে পড়লেন খাদে।