কর্নাটক বিধানসভা। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের নতুন বিধায়কদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই কোটিপতি। অন্য দিকে এই নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ৫৫ শতাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে অপরাধের মামলা। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর একটি বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই যে, এই বিষয়ে শাসক কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। এমনকি কোটিপতি হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে নেই রাজ্যের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি জেডিএস-ও!
নিয়ম মোতাবেক প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ানোর আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পত্তি ইত্যাদি বিষয় হলফনামা আকারে নির্বাচন কমিশনকে জানান। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই এডিআর এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের ২২৩ জন বিধায়কের মধ্যে ২১৭ জনই কোটিপতি! এমনকি ওই রিপোর্ট বলছে, বিধায়কদের গড় সম্পত্তি ২০১৮ সালে যেখানে ছিল ৩৪.৫৯ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে সেটাই হয়েছে ৬৪ কোটি টাকা!
কংগ্রেসের ১৩৫ জন বিধায়কের মধ্যে ১৩৪ জন বিধায়কের হলফনামা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ১৩২ জন বিধায়কই কোটিপতি। অন্য দিকে বিজেপির ৬৬ জন বিধায়কের মধ্যে ৬৩ জনই কোটিপতি। জেডিএস-এর ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে কোটিপতি ১৮ জন। নতুন বিধায়কদের মধ্যে মাত্র দু’জনের সম্পত্তি ৫০ লক্ষের কম। সম্পত্তির নিরিখে সব চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে থাকা, কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। তাঁর ঘোষিত সম্পত্তির অর্থমূল্য ১,৪১৩ কোটি টাকা!
অন্য দিকে এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে, নতুন বিধায়কদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মাথায় ঝুলছে গুরুতর অপরাধের মামলা। কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে ৩০ শতাংশ গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। বিজেপির ক্ষেত্রে এই হারটা ৩৫ শতাংশ এবং জেডিএস-এর ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ।