ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, ১৮ মে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলে তাঁর মেয়ে। এর পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। —প্রতীকী ছবি।
স্কুলের অদূরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার সহপাঠী-সহ ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এ নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ওই ছাত্রীকে নিয়মিত হুমকিও দিত কিশোরেরা। গণধর্ষণের অভিযোগে চণ্ডীগড়ের একটি সরকারি স্কুলের ৫ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই নাবালক হওয়ায় তাদের জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে বলে বুধবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
পুলিশের কাছে ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, দিন পনেরো আগে এক সন্ধ্যায় স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করার সময় তাঁর ১১ বছরের মেয়েকে একটি পার্কের ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সহপাঠী-সহ ৫ ছাত্র। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন নবম শ্রেণির ছাত্র। গণধর্ষণের কথা যাতে জানাজানি না হয়, সে জন্য তাঁর মেয়েকে ব্ল্যাকমেলও করত অভিযুক্তেরা।
ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, গোড়ায় মুখ বন্ধ রাখলেও ১৮ মে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলে তাঁর মেয়ে। এর পর চাইল্ড হেল্পলাইনে ফোন করেন প্রিন্সিপাল। তাদের সহযোগিতায় ১৯ মে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত বছরখানেক ধরেই ওই ছাত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার চলছে। যদিও তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন (প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট)-এর ১৬৪, ৪, ৬ ধারা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডিবি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।