কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
অশান্ত মণিপুরে এ বার পৌঁছল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ প্রতিনিধিদল। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন, নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন(আইএম)-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী একে মিশ্র। এ ছাড়া আইপিএস আধিকারিক তথা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)-র দুই জয়েন্ট ডিরেক্টর মনদীপ সিংহ তুলি এবং রাজেশ কুম্বলে রয়েছেন ওই দলে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকের ওই প্রতিনিধিরা সোমবার রাত ইম্ফলে পৌঁছেই মেইতেই সংগঠন আরাম্বাই তোম্বলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত ন’মাসের মেইতেই-কুকি গোষ্ঠীহিংসা পর্বে মণিপুরের দুই নাগা অধ্যুষিত জেলা উখরুল এবং সেনাপতি মোটের উপর শান্ত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে এনএসসিএন(আইএম)-এর ‘তৎপরতা’ বেড়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের সফরকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘পরিস্থিতি’ পর্যালোচনা করতেই ইম্ফলে গিয়েছেন তাঁরা।
গত বুধবার মণিপুরের সীমান্তবর্তী শহর মোরেতে পুলিশ কমান্ডোদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। নিহত হন দুই কমান্ডো-সহ চার জন। মণিপুরের বিজেপি সরকারের অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে ধারাবাহিক ভাবে পুলিশের উপর হামলা চালাচ্ছে কুকি জঙ্গিরা। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসার নেপথ্যে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে বলে গত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ উঠছে। ওই অনুপ্রবেশকারীদের মদতেই রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল এবং কুকি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে মাদক চাষের রমরমা, এমন মতও রয়েছে মণিপুরে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই গোষ্ঠীর অভিযোগ, কুকি জঙ্গিদের একাংশ মায়ানমারের কুকি-চিন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।