প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র
রাজনৈতিক স্বার্থে দুর্বল করা হচ্ছে বিচার বিভাগকে। এমনই অভিযোগ তুলে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখলেন ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং বিচারক। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, “একটি গোষ্ঠী চাপ দিয়ে, ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিচার বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।”
একই সঙ্গে ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, “রাজনৈতিক স্বার্থে এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা নড়বড়ে করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” অবশ্য চিঠিতে কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করা হয়নি। যে ২১ জন এই চিঠি দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চার জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও। তাঁরা হলেন দীপক বর্মা, কৃষ্ণা মুরারী, দীনেশ মাহেশ্বরী এবং এমআর শাহ।
মার্চ মাসের শেষে বিচার বিভাগের পবিত্রতা নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছিলেন গোটা দেশের ৬০০ জন আইনজীবী। এই আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন হরিশ সালভে এবং সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র। সেই চিঠিতেও অভিযোগ করা হয় যে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, আদালতের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশ কিছু বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। এই আবহে প্রথমে ৬০০ আইনজীবী, তার পর ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং বিচারকের চিঠি দেওয়াকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।