কে কবিতা। —ফাইল চিত্র
আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেত্রী কে কবিতাকে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কবিতার তিন দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে সোমবার। সোমবারই তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করায় সিবিআই। বিশেষ আদালতের বিচারক, কবিতাকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবারের শুনানিতে সিবিআই জানায়, আপাতত কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন নেই। তাই নতুন করে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
গত ১৫ মার্চ আবগারি মামলায় তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা কবিতাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আদালতের নির্দেশে তিহাড় জেলে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার তদন্তে তিহাড়ে গিয়ে চন্দ্রশেখর-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তার পর জেলের ভিতর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে তারা।
গত শুক্রবার কবিতাকে আদালতে হাজির করায় সিবিআই। নিজেদের হেফাজতে তাঁকে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় তারা। আদালতে সিবিআই দাবি করে, ‘‘২০২২ সালের ১৬ মার্চ দক্ষিণ ভারতের এক মদ ব্যবসায়ী দিল্লিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। ব্যবসা করার জন্য কেজরীওয়ালের সহায়তা চান ওই ব্যবসায়ী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য কবিতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। এমনকি, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকাও চাওয়া হয়েছিল।’’
এর পরই সিবিআই দাবি করে, তেলঙ্গানার বিআরএস নেত্রী কবিতা ওই মদ ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁকে হায়দরাবাদে দেখা করতে বলা হয়েছিল। কবিতার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ওই ব্যবসায়ী কেজরীর কথা উল্লেখ করেছিলেন। এমনকি, বিজয় নায়ারের কথাও জানান।
এখনও পর্যন্ত আবগারি মামলায় কবিতা ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। তাঁদের মধ্যে কেবল সঞ্জয় সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।