Mumbai Train Blast

১৯৯৩ মুম্বই হামলার সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে জেলের মধ্যেই পিটিয়ে খুন! উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মুন্নার সঙ্গে হামলাকারীদের পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতা থেকেই এই খুনের ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ১২:২২
Share:

কোলাপুরের কলম্বা সেন্ট্রাল জেল। — ফাইল চিত্র।

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের (তৎকালীন বম্বে) লোকাল ট্রেনে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনার সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে জেলের মধ্যেই পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কলম্বা সেন্ট্রাল জেলে ঘটনাটি ঘটেছে। জেল সূত্রে খবর, ৫৯ বছর বয়সি মুন্না নামে ওই অপরাধীর উপর রবিবার পাঁচ জন বন্দি হামলা করেন।

Advertisement

ডিআইজি (জেল) স্বাতী সাথে জানিয়েছেন, কেন মুন্নার উপর হামলা করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মুন্নার সঙ্গে হামলাকারীদের পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতা থেকেই এই খুনের ঘটনা কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলম্বা সেন্ট্রাল জেলে ১৯৯৩ মুম্বই হামলার চার জন দোষী সাজা খাটছিলেন। তাঁদের নিরাপত্তার কারণে অন্য বন্দিদের থেকে আলাদা সেলে রাখা হত। এই ঘটনার পর বাকি তিন জনকে অন্য জেলে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাতী। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পরই জেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অতীতেও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছিল এই জেলে।

২০১৩ সালে মুন্নাকে কলম্বা সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। অভিযোগ, ১৯৯৩ সালে ১২ মার্চ, বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত টাইগার মেননকে মুম্বই থেকে রায়গড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মুন্না। এ ছাড়াও আরডিএক্স, গ্রেনেড, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতেও সাহায্য করেছিলেন তিনি।

Advertisement

১২ মার্চ, ১৯৯৩, ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে দিনটা ছিল শুক্রবার। ভারতের ইতিহাসে যা কুখ্যাত ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামে পরিচিত। সে দিন জঙ্গি নাশকতার ঘটনাটি ঘটেছিল। মৃত্যু, আর্তনাদ আর আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ২৫৭ জনের, জখম হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। মতান্তরে, মৃতের সংখ্যা ৩০০-র কিছু বেশি, জখম ১৪০০।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement