Sweet Delights of Puri

পুরী বেড়াতে যাবেন? খাজা ছাড়া আর কী কী মিষ্টি কিনবেন?

মিষ্টি নিয়ে বাংলার সঙ্গে অনেক সময়ই দড়ি টানাটানি হয় পড়শি রাজ্যের। তবে যত প্রতিযোগিতাই চলুক না কেন, পুরীতে এমন কিছু মিষ্টি বানানো হয়, যেগুলির খ্যাতি বিশ্বজোড়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০২
Share:

খাজা তো খাবেনই, পুরী গেলে কী কী মিষ্টি খেতেই হবে? ফাইল চিত্র।

বাঙালির কাছে পুরীর মাহাত্ম্যই আলাদা। শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথধামের জনপ্রিয়তা শুধু বাংলাতেই থেমে নেই। সমুদ্র এবং তীর্থক্ষেত্রের এমন যুগল পাওনা চট করে হাতছাড়া করা যায় না। বাংলা থেকে কেবল নয়, দেশের নানা রাজ্য থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে পুরীতে। কিন্তু বেড়ানো কি কখনও খাওয়াদাওয়া ছাড়া ভাবা যায়! বিশেষ করে মিষ্টি। আর এই মিষ্টি নিয়েই বাংলার সঙ্গে অনেক সময়েই দড়ি টানাটানি হয় পড়শি রাজ্যের। তবে যত প্রতিযোগিতাই চলুক না কেন, পুরীতে এমন কিছু মিষ্টি বানানো হয় যেগুলির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এই ব্যাপারে পুরীকে টক্কর দেওয়ার সাধ্য নেই কারও। পুরী গেলে ব্যাগ ভরে মুচমুচে খাজা কিনে আনেন ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে এই মিষ্টিগুলি কেনেন কি?

Advertisement

রসবালি

রসবালি। ফাইল চিত্র।

পুরীর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রসবালি। ছাপান্ন ভোগের একটি এই মিষ্টি মন্দিরে বলরামকে নিবেদন করা হয়। ছানা, সুজি ও ময়দা দিয়ে গোল গোল টিক্কির মতো গড়ে সেগুলি ঘিয়ে ভাজা হয়। এর পর ভাজা মিষ্টিগুলি ঘন দুধ দিয়ে তৈরি ক্ষীরে ফেলা হয়। অনেক সময়ে ঘন করে রাবড়ি তৈরি করে তার মধ্যেও এই ভাজা মিষ্টি দিয়ে উপর থেকে ছোট এলাচ ছড়িয়ে পরিবেশন করা হয়।

Advertisement

মদনমোহন

মদনমোহন। ফাইল চিত্র।

পুরীর আরও একটি বিখ্যাত মিষ্টি হল মদনমোহন। বাংলার চমচমের মতো দেখতে। রং হলদেটে হয়। এই মিষ্টি ছানা বা সুজি দিয়ে তৈরি করা হয়। পুরীর সমুদ্রসৈকতে মিষ্টিবিক্রেতাদের কাছে মদনমোহন থাকবেই।

ছানাপোড়া

ছানাপোড়া। ফাইল চিত্র।

পুরীতে গিয়ে ছানাপোড়া খাননি, এমন মানুষ বিরল। পুরীর প্রায় সব মিষ্টির দোকানেই এই মিষ্টিটি থাকবেই। পুরী বলে নয়, ওড়িশারই খুব বিখ্যাত মিষ্টি হল ছানাপোড়া। ঘন দুধ থেকে ছানা কাটিয়ে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বেক করা হয়। ওড়িশার যে কোনও উৎসব ও অনুষ্ঠানে ঘরে ঘরে এই মিষ্টি তৈরি করা হয়।

ছেন্না ঝিল্লি

ছেন্না ঝিল্লি। ফাইল চিত্র।

পুরীর আরও একটি বিখ্যাত মিষ্টি। অনেকটা বাংলার জিলিপির মতো। তবে ছেন্না ঝিল্লি তৈরি হয় ছানা থেকে। ঘরে ঘরে মা-বোনেরা বিশেষ অনুষ্ঠান বা তিথিতে এই মিষ্টিটি তৈরি করেন। ঘন দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে সেগুলি জিলিপির আকারে গড়ে নিয়ে সাদা তেল বা ঘিয়ে ভাজা হয়। এ বার রস তৈরি করে তাতে চুবিয়ে দেওয়া হয় ঝিল্লিগুলি। রসে ডুবে সেগুলি আরও ফুলেফেঁপে ওঠে। পুরীর অনেক দোকানেই বাদাম ও পেস্তা ছড়িয়ে ছেন্না ঝিল্লি বিক্রি করা হয়।

রাবড়ি

রাবড়ি। ফাইল চিত্র।

বাংলায় কেবল নয়, রাবড়ি কিন্তু পুরীতেও বিখ্যাত। দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে রাবড়ি তৈরি হয়। দোকানে দোকানে মাটির পাত্রে বিক্রি হয় রাবড়ি। শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথ, বলরামের ভোগেও রাবড়ি থাকে। এই রাবড়িই কিন্তু অনেক মিষ্টিরও আধার। রসবালি, ক্ষীর সাগর, ছেন্না ক্ষীরি ইত্যাদি মিষ্টি রাবড়িতে চুবিয়েই খাওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement