Pune Car Crash

পোর্শেকাণ্ড: মদ্যপান করার কথা অবশেষে স্বীকার পুণের কিশোরের, দাবি পুলিশের

অভিযুক্ত নাবালককেও ৫ জুন পর্যন্ত হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে তাকে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার মা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পুণে শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৮:২৮
Share:

—ফাইল ছবি।

পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর সে দিন প্রচুর মদ্যপান করেছিল বলে জেরায় কবুল করেছে, দাবি পুলিশের। এ দিকে, রবিবারই এই কিশোরের বাবা-মাকে ৫ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।সোমবার আদালতে কিশোরের মা-বাবাকে তোলা হলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়। কিন্তু অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ফলে তাঁদের যেন পুলিশি হেফাজতে না-পাঠানো হয়। বিচারক ৫ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

Advertisement

অভিযুক্ত নাবালককেও ৫ জুন পর্যন্ত হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে তাকে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার মা। প্রথমে পুলিশ সূত্রে জানানো হয় যে, তদন্তে কিশোর বা কিশোরের মা আদপেই সাহায্য করছেন না। কিন্তু আজ এক সূত্রের দাবি, জেরায় কিশোর স্বীকার করে নিয়েছে যে দুর্ঘটনার সময়ে সে প্রচুর মদ্যপান করেছিল। সে নাকি পুলিশকে আরও জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনার সময়ের কোনও কথাই তার স্পষ্ট মনে নেই।

১৭ মে পুণের রাস্তায় একটি বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় মারা যান দুই তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। অভিযোগ, গাড়ির চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ঘটনার সময়ে মত্ত ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই নানা ভাবে এই কিশোরকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তার পরিবার। প্রথমে এই পরিবারের চালক পুলিশের কাছে দাবি করেন যে, সে দিন কিশোর নয়, গাড়ি চালাচ্ছিল সে নিজে। তার পরে জানা যায় যে, দুর্ঘটনার পরে সংগ্রহ করা ওই কিশোরের রক্তের নমুনা সরকারি হাসপাতালেই পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিশোরের মা। এর জন্য দুই চিকিৎসক ও এক চিকিৎসাকর্মীকে বিপুল ঘুষও দেয় কিশোরটির পরিবার।

Advertisement

চালককে ঘটনার দায় নিতে হুমকি দেওয়ার জন্য কিশোরের ঠাকুরদা সুরেন্দ্র আগরওয়ালকে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে দেওয়ার জন্য তার বাবা বিশালকে এবং রক্তের নমুনা পাল্টানোর চেষ্টা করার জন্য তার মা শিবানীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয়েছে সেই সরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসক এবং এক চিকিৎসাকর্মীকেও। এ ছাড়া, কিশোরটি যে পানশালা থেকে মদ্যপান করে বেরিয়েছিল, সেই পানশালার বিরুদ্ধেও অপ্রাপ্তবয়স্ককে মদ বিক্রি করার জন্য মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

পুণে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শৈলেশ বলকওয়াড়ে এই প্রসঙ্গে ‌আজ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে শতাধিক পুলিশ নিয়ে এক
ডজনেরও বেশি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘তদন্তে যাতে প্রতিটি দিক খুঁটিয়ে দেখা হয়, তার জন্যই এই ভাবে এগোচ্ছি আমরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement