—প্রতীকী চিত্র।
ফাঁকা বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিলেন যুবক। রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে হাতিয়ে নিয়েছিলেন যাবতীয় জিনিসপত্র। কিন্তু কাল হল তাঁর নেশা। চুরি করতে করতে নেশার ঘোরে ঘুমিয়েই পড়লেন তিনি। যা চুরি করেছিলেন, আর নিয়ে যাওয়া হল না। সকালে ঘুম ভাঙার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থানা এলাকায় ইন্দিরা নগরের। সেখানকার বাসিন্দা চিকিৎসক সুনীল পাণ্ডে। বলরামপুর হাসপাতালে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি বারাণসীতে ঘুরতে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ি ফাঁকা আছে জেনেই চুরি করতে ঢোকেন অভিযুক্ত। রাতের অন্ধকারে কৌশলে দরজা খুলে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে একাধিক দামি জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আলমারি খুলে টাকাপয়সা, গয়নাগাটিও নিয়েছিলেন। এমনকি, ওই বাড়িতে থাকা মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র নিজের ঝুলিতে ভরেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
পুলিশ জানিয়েছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন যুবক। চুরি করতে করতে নেশার প্রভাবে তাঁর ঘুম পেয়ে যায়। বিছানাতেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে চিকিৎসকের ঘরের দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এসে দেখে, সারা ঘর এলোমেলো। বিছানার উপর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন যুবক। চুরি করা জিনিসপত্র তাঁর পাশেই রাখা ছিল।
যুবকের ঘুম ভাঙলে সামনে পুলিশ দেখে তিনি আঁতকে ওঠেন। তাঁকে সেখানেই গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসকের বাড়ির জলের পাম্প খুলে নিতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই কাজের সময়েই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।