ছবি— সংগৃহীত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ বছর ও তার কমবয়সিদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভারতে কবে দেওয়া হবে? কবে থেকে আমরা স্কুলে যেতে পারব? দিল্লি হাই কোর্টকে এমনই প্রশ্ন করল দিল্লির ১২ বছরের টিয়া গুপ্ত। আদালত আগামী ২২ মার্চ এই মামলার শুনানি করবে।
১২ বছরের টিয়া এবং এক মহিলা দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানান, কেন্দ্রের করোনা টিকাকরণের দিশা জানানোর। সংবাদ সংস্থাকে ছোট্ট টিয়া বলেছে, ‘‘গত দু’বছর ধরে আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। বাড়িতে থাকতে আর ভাল লাগছে না। আমার মনে হয় আমার বয়সি সবার একই অবস্থা। সরকার এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশও দেয়নি। অথচ আমরা দেখছি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাচ্চারা দিব্যি স্কুলে যাচ্ছে। কারণ ফাইজারের টিকা ১২ বছরের কম বয়সিদের দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আমি আদালতের কাছে প্রশ্ন রেখেছি, আমাদের দেশ কবে এ ব্যাপারে দিশানির্দেশ দেবে?’’
টিকা নিলেই কি সে নিজেকে নিরাপদ বোধ করবে? এই প্রশ্নের জবাবে টিয়া জানায়, অবশ্যই। সে বলে, ‘‘এ ব্যাপারে একাধিক বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা করোনা থেকে অনেকটা বেশি সুরক্ষিত। তবে ওমিক্রন নিয়ে এখনও যেহেতু গবেষণা চলছে, তাই এটা নিয়ে বিশেষ কিছু জানি না।’’
বিচারপতি ডিএন পাটিল ও বিচারপতি জ্যোতি সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আবেদন তাঁরা শুনবেন ২২ মার্চ।
আবেদনে টিয়া ও ওই মহিলা তথ্য দিয়ে দাবি করেছেন, ২০২১-এর এপ্রিল ও মে মাসে যত জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ২০২০ সালের চেয়েও অনেক বেশি। ২০২১-এর মে মাসেও আবেদনকারীরা এক বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখন তাঁদের আবেদনের বিষয়বস্তু ছিল, শিশুদের টিকাকরণে নিষ্ক্রিয়তার কারণে শিশুরা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বার তাঁদের আবেদন, ১২ বছর ও তার কমবয়সিদের টিকাকরণের রূপরেখা জানাক কেন্দ্র।