সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা এলাকা। দেখা নেই রোদের। সোমবার বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাস্তায়। ছবি: শুভ্র মিত্র।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার লাগাতার বাউন্সার সামলে স্লগ ওভারে বেশ চালিয়েই ব্যাট করছে শীত!
মেঘ, বৃষ্টি কাটিয়ে সদ্য ছন্দে ফিরেছে শীত। মাঘের শুরুতে বাঘা শীতের আশায় বুক বেঁধেছে বাঙালি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার সারা দিন আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীত আরও দিন দু’য়েক স্থায়ী হবে। তবে শুক্রবার উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিপাত শুরু হলে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
দমদম এবং সল্টলেকের মতো কলকাতা লাগোয়া এলাকাগুলিতেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। পারদ অনেকটাই নেমেছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, দিঘার মতো উপকূলীয় এলাকাতেও কনকনে ঠান্ডা। পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের মতো এলাকাগুলিতে শীতের দাপট স্বাভাবিক ভাবেই দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার থেকে বেশি। শ্রীনিকেতনের রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রাতের তাপমাত্রা নামছে উত্তরবঙ্গেও। পাহাড়ি এলাকাগুলিতে তো এ সময়ে কনকনে ঠান্ডাই স্বাভাবিক। ক’দিন আগে তরাই-ডুয়ার্সের জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা কিছু়টা মাথাচাড়া দিয়েছিল। সেখানেও এখন হাড়কাঁপানো শীত মালুম হচ্ছের। এ দিন শিলিগুড়ির তাপমাত্রা প্রায় ৮ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারও ৮-৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মালদহ, দুই দিনাজপুরেও ঠান্ডার কমতি নেই।