ফাইল চিত্র।
“যখন করেন হরি বস্ত্রহরণ,
গোপীদের কাছে তিনি করিলেন পণ।
আগামী পূর্ণিমা কালে তাহাদের সনে ,
করিবেন রাসলীলা পুণ্য বৃন্দাবনে”
কৃষ্ণপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার পরিত্যাগ করে বৃন্দাবনে সমবেত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করলেও গোপিনীরা তা অস্বীকার করেন। গোপিনীদের মন অহংপূর্ণ হলে শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে নিয়ে অন্তর্ধান করেন। গোপিনীদের ভুল ভাঙে, অহং চূর্ণ হয় এবং শ্রীকৃষ্ণের স্তব করেন। গোপিনীদের ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ফিরে আসেন এবং গোপিনীদের জীবনের পরমার্থ বোঝান এবং প্রত্যেক গোপিনীর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে জাগতিক ক্লেশ থেকে মুক্তিদান করেন।
আগামী ১৯ নভেম্বর শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের উৎসব রাসযাত্রা।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–
পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ–
বঙ্গাব্দ – ২ অগ্রহায়ণ, বৃহস্পতিবার।
খ্রিস্টাব্দ– ১৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার।
সময়– দিবা ১২টা ০১ মিনিট।
পূর্ণিমা তিথি শেষ –
বঙ্গাব্দ – ৩ অগ্রাহয়ণ, শুক্রবার।
খ্রিস্টাব্দ– ১৯ নভেম্বর, শুক্রবার।
সময় – দিবা ২টো ২৮ মিনিট।
পূর্ণিমায় ব্রতোপবাস, রাসযাত্রা, রাহু গ্রহ আবির্ভাব।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে –
পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ –
বঙ্গাব্দ – ১ অগ্রহায়ণ, বৃহস্পতিবার।
খ্রিস্টাব্দ– ১৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার।
সময় – দিবা ১১টা ৩১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড।
স্মার্তমতে, রাত্রৌ শ্রী শ্রী কৃষ্ণস্য রাসযাত্রা। গোস্বামী মতে, অখণ্ডমণ্ডল ও রাকাপূর্ণিমানু্রোধে পরাহে শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাসযাত্রা।
পূর্ণিমা তিথি শেষ –
বঙ্গাব্দ– ২ অগ্রাহয়ণ, শুক্রবার।
খ্রিস্টাব্দ– ১৯ নভেম্বর, শুক্রবার।
সময় – দিবা ১ টা ১৭ মিনিট ২৩ সেকেন্ড।