মঙ্গল দ্বাদশ স্থানে অবস্থানের কারণে জাতক নিষ্ঠুর এবং কুৎসা রটনার মতো বদ স্বভাবযুক্ত হন।
জ্যোতিষ মতে জন্মকুণ্ডলী বা চন্দ্র রাশির থেকে দ্বাদশে মঙ্গলের অবস্থান অশুভ মাঙ্গলিক দোষযুক্ত বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে দ্বাদশ রাশি ব্যয় স্থান, অপচয়, দৈব জ্ঞান, মোক্ষ ইত্যাদি নির্দেশ করে। দ্বাদশ রাশিতে নীচস্ত ক্ষেত্রে মঙ্গলের অবস্থান ৬০ শতাংশ দোষ নির্দেশ করে। শত্রুর ক্ষেত্রে মঙ্গলের অবস্থান ৪৫ শতাংশ দোষ নির্দেশ করে। সমক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ দোষ নির্দেশ করে। মিত্র বা বন্ধুক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ, নিজক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ এবং উচ্চস্ত ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ দোষ নির্দেশ করে।
দ্বাদশ স্থানে মঙ্গল অবস্থান করার জন্য মঙ্গল চতুর্থ দৃষ্টি দ্বারা তৃতীয় স্থান প্রভাবিত করে। সপ্তম দৃষ্টি দ্বারা ষষ্ঠ স্থান এবং অষ্টম দৃষ্টি দ্বারা সপ্তম স্থান প্রভাবিত করে।
মঙ্গল দ্বাদশ স্থানে অবস্থানের কারণে জাতক নিষ্ঠুর এবং কুৎসা রটনার মতো বদ স্বভাবযুক্ত হন। চোখের সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা থাকে। দ্বাদশ স্থানে অবস্থানের কারণে অপব্যয় সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রিয়জন বা বন্ধুবান্ধব থেকে অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মঙ্গলের তৃতীয় স্থানে দৃষ্টির কারণে জাতক তৃতীয় স্থান সংক্রান্ত কিছু সুখ থেকে বঞ্চিত হন। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শুভ ফল দান করে। সাহসিকতার ক্ষেত্রে শুভ হলেও সঠিক সিদ্ধান্তের অভাব হলে তা অশুভ ফলই দান করে। ভাইয়ের সুখ থেকে বঞ্চিত করে।
দ্বাদশে অবস্থানের জন্য সপ্তম স্থানে প্রভাব ফেলে। সপ্তম স্থান বিয়ে, জীবনসঙ্গীকে নির্দেশ করে। সপ্তম স্থানে দৃষ্টির জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ক্রমাগত অবিশ্বাস ও বিরোধিতা দেখা যায়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি এমনকি বিচ্ছেদও ঘটতে পারে।
মাঙ্গলিক দোষ যুক্ত মানেই যে সব ক্ষেত্রে অশুভ ফল প্রাপ্তি হবে তা কিন্তু না। মাঙ্গলিক দোষ বিচারের ক্ষেত্রে মঙ্গল ছাড়াও অন্যান্য গ্রহ বিশেষত শনি, রাহু, কেতু এবং বৃহস্পতির অবস্থান এবং দৃষ্টি বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিকার: হনুমান চালীশা পাঠ। হনুমানজির পূজা করুন এবং প্রসাদ বিতরণ করুন। গায়েত্রি মন্ত্র জপ করুন। দুর্গাপূজা করুন। লাল বস্ত্র বা রুমাল ব্যবহার করুন। বাঁদর, হনুমানকে খাবার দিন। মঙ্গলবার পালনে বিশেষ শুভ ফল প্রাপ্তি হয়। স্বামী, স্ত্রী উভয়েই মাঙ্গলিক দোষ যুক্ত হলে মাঙ্গলিক দোষের কুফল বিনাস হয়। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন।