সপ্তম স্থানে অবস্থানের জন্য বিশেষ দৃষ্টির দ্বারা দশম স্থান বা কর্মস্থানকে প্রভাবিত করে।
জন্ম পত্রিকায় লগ্ন বা রাশির (চন্দ্র লগ্নের) সপ্তম স্থানে মঙ্গলের অবস্থানকে অশুভ মাঙ্গলিক দোষযুক্ত অবস্থান বলা হয়। সপ্তম স্থানে মঙ্গলের অবস্থান অশুভ বলার কারণ কী? জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মঙ্গল নৈসর্গিক অশুভ গ্রহ। সাধারণ ভাবে মঙ্গল যে রাশিতে অবস্থান করে কোনও না কোনও ভাবে সেই রাশি সংক্রান্ত ফলপ্রাপ্তিতে প্রভাব দান করে। সপ্তম রাশি বিয়ে, জীবনসঙ্গী, অংশীদারি ব্যবসার সঙ্গী, স্ত্রী সুখ, দাম্পত্য জীবন, কামনা বাসনা নির্দেশ করে। সপ্তম রাশিতে অবস্থানের কারণে বিবাহ বা বৈবাহিক জীবনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মঙ্গলের অবস্থান অল্প আয়ু নির্দেশ করে। অর্থাৎ সপ্তম স্থান জীবনসঙ্গী নির্দেশ করার কারণে জীবনসঙ্গীর অল্প আয়ু নির্দেশ করে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য মঙ্গল কতটা বলশালী বা কতটা প্রভাব দান করার ক্ষমতা যুক্ত তার উপর বিশেষ নির্ভরশীল। এ ছাড়াও কোনও শুভ গ্রহ বিশেষত বৃহস্পতির দৃষ্টি বা অবস্থানের উপর এবং রাগী গ্রহ যেমন রবি এবং অশুভ গ্রহ যেমন শনি, রবি ও কেতুর অবস্থান এবং দৃষ্টি সম্পর্কের উপর বিশেষ নির্ভর করে।
জীবনসঙ্গীর আয়ু শুধুমাত্র সপ্তম স্থান মঙ্গলের অবস্থান দেখে বিচার করা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে উভয়ের আয়ু বিচার অনান্য গ্রহের শুভ অশুভ বিচার বিশেষ প্রয়োজন।
মঙ্গলের অবস্থান অনুযায়ী কতটা প্রভাব দান করার ক্ষমতাযুক্ত তা বিচার করা প্রয়োজন। যেমন মঙ্গলের অবস্থান (সপ্তম স্থান) যদি মঙ্গলের নিম্নস্থান বা নিম্ন রাশিতে হয় সে ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ, যদি শত্রু রাশিতে হয় তা হলে ৯০ শতাংশ, সাধারণ স্থান হলে ৮০ শতাংশ, মিত্র বা বন্ধু স্থান হলে ৭৫ শতাংশ, নিজ স্থান হলে ৬০ শতাংশ এবং উচ্চস্থান হলে ৫০ শতাংশ মাঙ্গলিক দোষ নির্দেশ করে।
সপ্তম স্থানে অবস্থানের জন্য বিশেষ দৃষ্টির দ্বারা দশম স্থান বা কর্মস্থানকে প্রভাবিত করে। ফলে কর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে শুভ অশুভ ফল দান করে।
সপ্তম স্থানে অবস্থানের ফলে সপ্তম দৃষ্টির দ্বারা লগ্ন স্থানকে অশুভ প্রভাব দান করে।
বিশেষ দৃষ্টির দ্বারা দ্বিতীয় স্থান বা দ্বিতীয় রাশিকে প্রভাবিত করে। দ্বিতীয় স্থান পরিবার বা পারিবারিক বিষয়, বাণী, ধনসম্পত্তি উপর এবং দ্বিতীয় স্থান বা রাশি থেকে প্রাপ্ত সমস্ত সুখের ক্ষেত্রে প্রভাব দান করে।
প্রতিকার- হনুমান চালিশা পাঠ। হনুমানজির পূজা করুন এবং প্রসাদ বিতরণ করুন। গায়েত্রি মন্ত্র জপ করুন। দুর্গার পূজা করুন। লাল বস্ত্র বা রুমাল ব্যবহার করুন। হনুমানকে খাবার দিন। মঙ্গলবার এ সব পালনে বিশেষ শুভ ফল প্রাপ্তি হয়। স্বামী স্ত্রী উভয়েই মাঙ্গলিক দোষ যুক্ত হলে মাঙ্গলিক দোষের কুফল বিনাস হয়। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন।