রজোনিবৃত্তির সঙ্গে হার্টের সম্পর্কটা ঠিক কী রকম? ছবি: সংগৃহীত।
বয়ঃসন্ধির পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে মেয়েদের দেহের অভ্যন্তরে শারীরবৃত্তীয় নানা পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ঋতুচক্র শুরু, সন্তানধারণ এবং ঋতুবন্ধ— এই তিনটি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হরমোন। এই হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে হার্টের যে ক্ষয় হতে বছর দশেক সময় লাগে, মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ঘটে অনেক দ্রুত গতিতে। মূলত রজোনিবৃত্তির ওই চার বা পাঁচ বছরের মধ্যে।
চিকিৎসক এবং গবেষণা প্রধান স্টেফানি মোরিনো বলছেন, “একটা বয়সের পর, বিশেষ করে ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণই হল এই হরমোন। মহিলারা ঋতুবন্ধের সময়ে এসে পৌঁছলে শরীরে ‘ইস্ট্রোজেন’ হরমোনের ক্ষরণ কমতে থাকে। তা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে কিন্তু অনুঘটকের মতো কাজ করে।” এই খারাপ কোলেস্টেরল বা ‘এলডিএল’ রক্তবাহিকাগুলির পথ ক্রমশ সরু করে দেয়। ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। সেখান থেকেই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তবে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি রক্তের এই খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলা কিন্তু জরুরি।
মহিলাদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে কী কী করণীয়?
১) বয়স ৪০ হলেই নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে হবে।
২) বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী বিএমআই বা ‘বডিমাস ইনডেক্স’-এর মান যেন ২৫-এর মধ্যে থাকে।
৩) প্রতি দিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। সকাল এবং সন্ধ্যা, দু’বার করতে পারলে আরও ভাল।
৪) বেশি মাত্রায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে হবে। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ খেতে পারলে ভাল হয়।
৫) কৃত্রিম চিনি দেওয়া নরম ঠান্ডা কোনও পানীয় না খাওয়াই ভাল।