অভিনেত্রী মৌনী রায়। ছবি: সংগৃহীত।
হিন্দি ধারাবাহিক দেখেন অথচ অভিনেত্রী মৌনী রায়কে চেনেন না, এমন মানুষ হাতেগোনা। অভিনয় তো বটেই, অনুরাগীদের মধ্যে চর্চা হয় তাঁর শরীরের গড়ন নিয়েও। কী খেলে বা কী ভাবে শরীরচর্চা করলে শরীরের গড়ন মৌনীর মতো হবে সেই আকাঙ্ক্ষা অনেক মহিলারই আছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌনী জানিয়েছেন, একটা সময়ে তাঁর ওজন বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ৩০ কেজি। যে পেশায় তিনি রয়েছেন, সেখানে ছিপছিপে থাকা কতটা প্রয়োজন, সে কথা ভেবে ভেঙেও পড়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি।
ঘটনার সূত্রপাত সাত-আট বছর আগে। স্লিপ ডিস্কে আক্রান্ত হয়ে একেবারে শয্যাশায়ী হয়েছিলেন কয়েক মাস। নড়াচড়া করার ক্ষমতা ছিল না। ব্যথা-যন্ত্রণা কমানোর ওষুধই ছিল ভরসা। সেই সময়ে হঠাৎই মৌনীর ওজন বাড়তে শুরু করে। অভিনয় জগতে আবার ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত সেই চিন্তায় উদ্বেগ, অবসাদ ঘিরে ধরে তাঁকে। খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে সপ্তাহে ৩-৪ দিন শুধু ডিটক্স পানীয় খেয়েও থেকেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
মৌনী ঠেকে বুঝেছেন, ওজন ঝরাতে গেলে খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। তবে খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে খাবার খেলে কোনও রকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়, বরং বিপাকহার ভাল হবে। আর যদি ধৈর্য ধরে একটু ব্যায়াম করা যায়, তা হলেই অনেকটা ফল মেলে। মৌনীর ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে ওষুধেরও অনেকটা ভূমিকা রয়েছে। ব্যথা কমানোর ওষুধে এমন কিছু উপাদান থাকে, যেগুলি ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করে। তবে ওষুধ বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসা যায়।
অনেকেই খাবারের বিষয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। ডায়েট করছেন বলে পছন্দের অনেক খাবারই বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু মৌনী সব রকম খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই তিনি এ বিষয়ে বাছাবাছি পছন্দ করেন না। ভাত-ডাল, আলু-ডিম, শাক— সবই খান। তবে বাড়িতে রান্না করা। মিষ্টি খেতে তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না। তাই আলাদা করে মিষ্টি নিয়ে কড়াকড়ি নেই।
নিজের চেষ্টায় কোমরের মাপ ২৬ ইঞ্চিতে ফিরিয়ে এনেছেন!