ব্যাগ ‘আনপ্যাক’ করতেও প্রস্তুতি লাগে? ছবি: সংগৃহীত।
ঘুরতে যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছানো নিয়ে প্রায় সকলেরই উৎসাহ থাকে। কিন্তু ফিরে এসে যে ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বার করে যথাস্থানে রাখতে হবে, সে কথা অনেকেরই মনে থাকে না। মনে থাকে না বললে বোধহয় জুতসই হয় না। বলা ভাল ইচ্ছে করে না। দিনের পর দিন ঘরের এক কোণে পড়ে থাকে সেই ব্যাগ, ট্রলি। খুব জরুরি জিনিসগুলি বার করে নিয়ে কোনও মতে কাজ চালিয়ে নিতে পারলে মাসখানেক আর ওই ব্যাগের দিকে তাকানোর প্রয়োজন পড়ে না। আবার, ব্যতিক্রমও তো আছেন। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা বাড়িতে পা রাখা মাত্রই ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বার করতে শুরু করেন। তাঁদের কাজ ফেলে রাখতে মোটেই ভাল লাগে না। কিন্তু কেন এমনটা হয়?
বেশ কিছু দিনের ছুটি কাটিয়ে, ঘুরে আসার পর আবার ছকে বাঁধা জীবনে ফিরতে কারও ভাল লাগে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, মূলত সেই কারণেই অনীহা জন্মায়। তার পর দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম, অফিস সামলে আবার বাড়তি একটা দায়িত্ব নিতে হবে, সেটা ভেবেও অনীহা তৈরি হতে পারে। যে সব জিনিস নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ফিরে আসার পর ওই জিনিসগুলি সোজা আলমারিতে গুছিয়ে তুলে ফেলা যায় না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু সেই কাজ মাথা দিয়ে পরিচালনা করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, তার ঘাটতি থাকলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্যাগ ‘আনপ্যাক’ করা অর্থাৎ জিনিস না গোছানোর সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও যোগ রয়েছে। ফিরে আসার পর জিনিস গোছাতে গেলে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেই কাজ সামাল দিতে না পেরে উল্টো দিকের মানুষটির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন। সামান্য কথায় রাগ একেবারে মাথায় চড়ে বসতে পারে।
তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে। তার জন্য কী করতে হবে?
১) ঘুরতে গেলে সঙ্গে কী নিতে হবে তার তালিকা তৈরি করে রাখেন অনেকে। এ ক্ষেত্রেও ফিরে এসে কী কী করতে হবে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে।
২) এক দিনে সবটা আনপ্যাক না করে, প্রতি দিন একটু একটু করেও কাজ সামলে নেওয়া যায়। সারা দিনের মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিট সময় দিলেই চার-পাঁচ দিনের মধ্যে কাজ সেরে নিতে পারবেন।
৩) ব্যাগ থেকে জিনিস বার করে গোছানোর সময়ে হালকা কোনও গান বা যন্ত্রসঙ্গীত চালিয়ে রাখতে পারেন। তা হলে কাজের একঘেয়েমি কাটবে। খুব বেশি সময়ও লাগবে না।