ছবি: সংগৃহীত।
গ্রীষ্মের দুপুরে গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফেরার পর এক টুকরো তরমুজ সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। বাজার থেকে তরমুজ কিনে আনার পর তা প্লাস্টিকে মুড়ে ফ্রিজে রাখা হয়। ফ্রিজ থেকে বার করে এই দাবদাহে ইচ্ছেমতো ঠান্ডা তরমুজ খাওয়ার মজাই আলাদা। শরীর সুস্থ রাখতে তরমুজ কতটা উপকারী, আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে জুড়ি নেই তরমুজের। পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতেও তরমুজ সাহায্য করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দেয় এই ফল। তা ছাড়া তরমুজের ক্যালোরির সূচক বেশ কম। ফলে যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন, তাঁদের জন্যেও বেশ উপযোগী তরমুজ।
বাজার থেকে তরমুজ কিনে আনার পর অনেকেই প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তা ফ্রিজে তুলে রাখেন। গরমে অতিথি এলেও ফ্রিজে ঠান্ডা তরমুজ খেতে দিলে স্বস্তি পান। তবে ‘জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ফ্রিজে নয়, ঘরের তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভাল থাকে তরমুজ। গবেষকেরা ২১ ১২, ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় রেখে ১৪ দিন ধরে পরীক্ষা করেছিলেন তরমুজের গুণাগুণ। পরীক্ষার ফল বলছে, ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তরমুজের। ফ্রিজে রাখলে তরমুজের স্বাদও খারাপ হতে থাকে। লাল টুকটুকে রং ম্লান হতে থাকে। তা ছাড়া তরমুজ কেটে তার পর ফ্রিজে রাখা হয়। তরমুজ বলে নয়, কোনও কাটা ফলই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ফ্রিজের তাপমাত্রায় বিভিন্ন ধরের ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সেই ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে ফলের গায়েও। গরমে পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ফ্রিজে ফল কেটে রাখার দরকার নেই। সব সময় টাটকা ফল খাওয়া ভাল।