আখরোট কিনে রাখলে তা ভাল রাখার জন্য ভাবনাচিন্তা করতে হয়। ছবি- সংগৃহীত
পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবারের মধ্যে অন্যতম আখরোট। এতে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। আর আছে ফাইবার। এখন অনেকেই রোজের ব্যায়ামের আগে কয়েকটি আখরোট খান। কেউ কেউ আবার স্যালাডে ছড়িয়ে দেন এই বাদাম। তাই একসঙ্গে অনেকটা আখরোট কিনেও রাখেন।
কিন্তু আখরোট কিনে রাখলে তা ভাল রাখার জন্য ভাবনাচিন্তা করতে হয়। কারণ এই বাদাম তাজা রাখা কঠিন। বিশেষ করে গরমের জায়গায় আখরোট অনেক দিন রেখে দিলে অনেক সময়েই তা খারাপ হয়ে যায়। ফলে আখরোট রাখার জন্য একটি ভাল জায়গা আগে ঠিক করুন।
আখরোট রাখার জন্য একটি ভাল জায়গা আগে ঠিক করুন। ছবি- সংগৃহীত
ঠান্ডা এবং শুকনো জায়গায় রাখুন
রোদের তাপ যেখানে পৌঁছবে না, এমন কোনও জায়গায় রাখুন আখরোটের পাত্রটি। অনেকে ভাবেন ফ্রিজে বাদাম রাখতে নেই। কিন্তু আখরোটের বিষয়টি আলাদা। খোসা-সহ হোক বা ছাড়া, ফ্রিজে দিব্যি ভাল থাকে আখরোট। যদি এক মাসের মধ্যে সব আখরোট ব্যবহার করে ফেলবেন ঠিক করেন, তবে এমনি ফ্রিজে রাখুন। আর যদি আরও বেশি দিন রাখতে চান আখরোট, তবে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন।
কেন তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায় আখরোট
অন্য কোনও বাদামের চেয়ে আগে নষ্ট হয় আখরোট। এর কারণ একটিই। এতে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তা গরমে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কী ভাবে রাখবেন আখরোট?
খেয়াল রাখুন এমন কোনও পাত্রে আখরোট ভাল থাকবে না যাতে তা তপ্ত কিংবা আর্দ্র হয়ে যায়। ফলে যে সব কৌটোয় হাওয়া ঢুকতে পারে না, এমন কিছুতে রাখুন আখরোট।
একটি বিশেষ টোটকা
আগে থেকে ছাড়িয়ে রাখবেন না আখরোট। ঠিক খাওয়ার আগে আখরোটের খোসা ফাটিয়ে বাদাম বার করে নিন। তা হলে বাদামের গন্ধ ও স্বাদ ভাল ভাবে পাওয়া যাবে।