অন্যেরা আপনার মুখের দুর্গন্ধ পাচ্ছেন, কিন্তু আপনি নিজে তা বুঝতে পারছেন না। ছবি: সংগৃহীত।
দিনে দু’বার দাঁত মাজেন। খাবার খাওয়ার পর কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তা সত্ত্বেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুশকিলের কথা হল, দুর্গন্ধ যে ঠিক কখন থেকে ছড়াতে শুরু করে, তা নিজে মালুম পান না। কানের কাছে মুখ নিয়ে গোপন বাক্যালাপের সময়ে তা টের পাওয়া যায়। উল্টো দিকের মানুষটির চোখ-মুখের বিকৃতি দেখে অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন। দুর্গন্ধ কতটা তা আঁচ করতে পারেন না বলে কেউ কেউ আবার মনে করেন তাঁদের মুখে দুর্গন্ধ হয় না। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, বিষয়টি এত সহজ নয়। নিজের মুখের দুর্গন্ধ না পাওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
মানুষের মস্তিষ্কের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল ‘অলফ্যাক্টরি ফ্যাটিগ’। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘অডর ফ্যাটিগ’ বা ‘নোজ়ব্লাইন্ডনেস’-ও বলা হয়। এই ‘অলফ্যাক্টরি ফ্যাটিগ’ বা ‘অডর ফ্যাটিগ’ বা ‘নোজ়ব্লাইন্ডনেস’ হল মস্তিষ্কের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। যার ফলে সাময়িক ভাবে ঘ্রাণশক্তি লোপ পায়। বিশেষ করে দীর্ঘ ক্ষণ ওই গন্ধ নিজের সঙ্গে বহন করলে, তা আলাদা করে টের পাওয়া মুশকিল হয়।
মুখের মধ্যে যে গন্ধ থাকে, তা সারা দিন ধরে নিজের সঙ্গে বয়ে বেড়াতে হয়। দীর্ঘ ক্ষণ এই ভাবে থাকলে মস্তিষ্ক তা সহজেই এড়িয়ে চলতে শিখে যায়। চারপাশের অন্যান্য গন্ধে তা খানিকটা ম্লানও হয়ে যায়। মুখের দুর্গন্ধ রোধ করার যেমন উপায় রয়েছে, তেমনই ঘ্রাণ পরীক্ষা করারও বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে কি না বুঝবেন কী ভাবে?
১) মাজনের বিজ্ঞাপনে যেমন দেখায়, মুখের সামনে হাত রেখে মুখগহ্বরের ভিতরের শ্বাস পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
২) মুখ থেকে বেশ খানিকটা লালা সংগ্রহ করে হাতের তালুতে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার পর ঘ্রাণ নিয়ে দেখা যেতে পারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কি না।
৩) জিভের উপর জমে থাকা ময়লার স্তর চামচ দিয়ে চেঁছে নিন। তার পর ঘ্রাণ পরীক্ষা করে দেখুন।