Honey for Weight Loss

ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস দেন, মধুও মেশান! তা শুধু স্বাদের জন্য? না কি মধু খেলেও মেদ ঝরে?

মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে অনেকটাই কম। তাই মধু মিষ্টি হলেও তা আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না। আয়ুর্বেদেও বহু রোগের ওষুধ তৈরি হয় মধুর মিশ্রণে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
Share:

মধু তো মিষ্টি, রোজ খেলেও ওজন বাড়বে না? ছবি: সংগৃহীত।

বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘মধ্যপ্রদেশ’ও বেড়ে চলেছে। রোজ তো ব্যায়াম করার সময় হয় না। কিন্তু নিয়ম করে সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খান। সঙ্গে মধুও থাকে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই পানীয় খেতে দিব্য লাগে। কিন্তু মধু তো মিষ্টি! ওজন ঝরানোর পথে এই বাড়তি মিষ্টি কি ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াবে না?

Advertisement

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এক টেবিল চামচ মধুতে ক্যালোরির পরিমাণ ৬৪। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ১৭ গ্রাম। প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ ১৭ গ্রাম। প্রোটিন রয়েছে ০.১ গ্রাম। এ ছাড়াও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মধু। সবচেয়ে বড় কথা হল, মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অন্যান্য মিষ্টির চেয়ে অনেকটাই কম। তাই মধু মিষ্টি হলেও তা আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না। শুধু তা-ই নয়, লিভারে গ্লাইকোজেন নামক একটি উপাদান সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে শরীরে ফ্যাট জমিয়ে রাখার যে কোনও প্রয়োজন নেই, সেই সঙ্কেত পৌঁছয় মস্তিষ্কে। ফলে, মস্তিষ্কের নির্দেশ অনুযায়ী শরীর ফ্যাট জমিয়ে রাখার স্বাভাবিক, স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়াটি বিরত রাখে।

আয়ুর্বেদেও বহু রোগের ওষুধ তৈরি হয় মধুর মিশ্রণে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চা চামচ খাঁটি মধু খেলে বিপাকহার ভাল হয়। যা পরোক্ষ ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মধ্যরাতে মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রবণতাও রুখে দেয়। ঈষদুষ্ণ জলে মধুর সঙ্গে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়েও খান অনেকে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটিও দারুণ একটি টোটকা হতে পারে।

Advertisement

তবে ভাল বলেই যখন খুশি মধু খাওয়া যায় না। উপকারের আশায় প্রতি দিন অনেকটা পরিমাণে মধু খেয়ে ফেললে উল্টে বিপদ বাড়তে পারে। আবার, মৌমাছিজাত জিনিসে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। তাঁদেরও মধু খাওয়া বারণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement