আদার পরিবর্তে শুঁঠ খাবেন কেন? ছবি- সংগৃহীত
শীতের শুরুতেই গলা খুসখুস, কথা বলতে গেলেই গলায় অস্বস্তি। গরম জল খেয়ে, গার্গল করেও খুব যে লাভ হয়েছে তা নয়। চিকিৎসকের কাছে যাবেন, কিন্তু একগুচ্ছ ওষুধ খাওয়ার ভয়ে আজ যাব, কাল যাব করছেন। ঘরোয়া টোটকা খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ মনে পড়ল সেদিন কবাব বানাবেন বলে শুকনো আদা কিনে ছিলেন, তা খানিকটা রয়ে গিয়েছে। জানেন কি হেঁশেলে থাকা এই উপাদানটিই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। অনেকেই বলেন, শ্বাসযন্ত্রের দেখাশোনা ছাড়াও নিষ্প্রাণ ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও ব্যবহার করা যায় শুঁঠ।
শুঁঠ কী?
আদা রোদে শুকিয়ে, গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি করা যায় শুঁঠ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, কাঁচা আদার চেয়েও শুঁঠের কার্যকারিতা অনেক বেশি। ঠান্ডায় গা গরম রাখতে পারে শুঁঠ। নতুন মায়েদের শরীরের ক্ষত শুকোতেও দারুণ উপকারী এই মশলাটি। পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট-এ ভরপুর শুঁঠ, ‘ট্রিপসিন’ এবং ‘লাইপেজ়’ নামক দুটি উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। এই দুটি উৎসেচক প্রোটিন এবং ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন শুঁঠ?
সাধারণ রান্নায় আদার বদলে শুঁঠ দিতে পারেন। এ ছাড়া যে কোনও মোগলাই খাবার যেমন কবাব, তন্দুরিতে ব্যবহার করতে পারেন। আবার স্যুপ, কুকিজ়, নানা রকম সব্জি, মাছ বা মাংস ম্যারিনেট করতেও ব্যবহার করা যায় শুকনো আদা।
এ ছাড়া আর কী কী সমস্যায় ব্যবহার করা যায় শুঁঠ?
১) হজমের সমস্যায় গলা-বুক জ্বালা করলে খাওয়া যেতে পারে।
২) মাথাধরা বা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা নিরাময়েও কাজ দেয় শুঁঠ।
৩) এই মরসুমের ছোঁয়াচে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে গুড় দিয়ে শুঁঠ খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
৪) ওজন ঝরাতে প্রতি দিন সকালে উষ্ণ জলে লেবু, মধু দিয়ে খাচ্ছেন? এর সঙ্গে যদি একটু শুঁঠ মিশিয়ে নিতে পরেন। মেদ ঝরবে তাড়াতাড়ি।
৫) এ ছাড়াও ঠান্ডায় বয়স্ক মানুষদের হাত-পা সিঁটিয়ে যায়, তাঁদের গা গরম রাখতেও শুঁঠ খাওয়ানো যেতে পারে।