প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবারে ভরপুর কলা, হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। ছবি- সংগৃহীত
ঘুম চোখ খুলেই গরম এক কাপ চা বা কফি না খেলে যেন দিন শুরুই হতে চায় না। অন্য সব কিছুর আগে সকালবেলা গ্যাস জ্বেলেই চা বা কফির জল গরম করাই দস্তুর। কিন্তু দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে জানেন?
হালের গবেষণা বলছে, প্রোটিন এবং ফ্যাট রয়েছে এমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমে। এ ছাড়াও সারা দিনে অপ্রয়োজনীয় মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাতেও লাগাম টানে।
সকালে খালি পেটে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, এই অভ্যাসের দাস বলিউডের তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। তাঁদের জীবনযাত্রাও খানিক ভিন্ন। তাই সমস্যাও বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রা, বিপাক হারে পরিবর্তন, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা, হজমের সমস্যা, পেশিতে টান ধরা, কাজে গতি না পাওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবারে ভরপুর কলা, হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও ডায়েট করার ফলে যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রেও কলা দারুণ কার্যকরী।
আর কী কী কারণে কলা খাবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, বেশির ভাগ মানুষই হজমের সমস্যায় ভোগেন। কলা হজম সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার সমাধান করে। খাবার খাওয়ার পরেও অনেক সময়ে টুকটাক মুখ চালাতে ইচ্ছা করে অনেকেরই। এই অভ্যাসে নিজেদের অজান্তেই বাড়তে থাকে ক্যালোরি। কলা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁরা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কলা খেতেই পারেন।
এ ছাড়াও, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থাকলে রাতে ৬-৭টি কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পরের দিন ওই জলেই ১-২টি কেশর ছড়িয়ে খেতে পারেন। তবে বাজারে যে কিশমিশ পাওয়া যায়, তার বদলে যদি কালো কিশমিশ ব্যবহার করতে পারেন, তবে উপকার বেশি। এর সঙ্গে প্রতি দিন রাখতেই হবে ৪ থেকে ৫টি কাঠবাদাম। হাড়ের জোর বাড়াতে, অনিদ্রাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ করে।
প্রতি দিন সকালে উঠে অবশ্যই খাওয়া উচিত এমন কিছু খাবারে সম্ভাব্য একটি রুটিন এখানে দেওয়া হল।
১) ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে শুধু এক গ্লাস জল খান।
২) তার পর খেয়ে নিতে পারেন একটি কলা।
৩) চা বা কফি যদি খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ঘুম থেকে ওঠার অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা পর খেতে পারেন।
৪) যদি সকালে কোনও ওষুধ খাওয়ার থাকে, তা-ও খেয়ে নিতে হবে আধ ঘণ্টার মধ্যে।
৫) তার পরের ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন শরীরচর্চার জন্য।
৬) শরীরচর্চা করার ১০ মিনিট পর, সকালের জলখাবার খেয়ে নিন।
৭) যে কোনও খাবার খাওয়ার অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা পর জল খাবেন।