কাজের চাপ, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত জীবনের নানা রকম সমস্যা থেকে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়, তার ফলেও ওজন বাড়তে পারে। ছবি- সংগৃহীত
ওজন ঝরাতে গেলে শরীরচর্চার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ জীবনযাপনের। প্রতি দিনের কাজের চাপ, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত জীবনে নানা রকম সমস্যা থেকে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়, তার ফলেও যে ওজন বাড়তে পারে, সে কথা জানা আছে? এ বিষয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে। কেউ মনে করেন মানসিক চাপ বাড়লে ওজন বাড়ে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ওজন বাড়ছে বলেই উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, এই দু’টি বিষয়ই একে অন্যের সঙ্গে জড়িত।
অবসাদের সমস্যা নতুন নয়। তবে ইদানীং যে কোনও ক্ষেত্রেই কাজের চাপ এবং প্রতিযোগিতা এত বেশি যে, সেখান থেকে উদ্বেগ বা অবসাদের শিকার হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তার জেরে স্কুলে যাওয়া শিশু থেকে প্রৌঢ়দের মধ্যে স্থূলতা বা ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা কি সত্যি? চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অবসাদের প্রভাব পড়ে ওজনে।
কিন্তু কী ভাবে?
১) খাওয়ার সময় পরিবর্তন
স্বাভাবিক অবস্থায় সঠিক সময়ে, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলেও উদ্বেগ বা অবসাদে আক্রান্ত হলে, সেই নিয়মে পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। মধ্যরাতে হঠাৎ মিষ্টিজাতীয় কিছু বা ভরপেট খাওয়ার পরও টুকটাক মুখরোচক কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু অবসাদজনিত কারণ থেকে হতে পারে।
২) ‘স্ট্রেস’ হরমোন
রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকে, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের ‘কর্টিজ়ল’ হরমোনের ভারসাম্য। যার ফলে সারা ক্ষণই খিদের অনুভূতি থাকে। খাওয়ার পরেও মনে হয় কিছু খেলে ভাল হয়। এই অনিয়মিত খাবার খাওয়ার রুটিনে বিপাকহারেও ব্যাপক পরিবর্তন আসে। যার প্রভাবে ওজন বাড়ে।
৩) মেদ জমা
দেহের বিভিন্ন অংশ, যেমন পেটের চারপাশ, কোমরে বা ঊরুতে মেদ জমার পিছনেও দায়ী এই ‘কর্টিজ়ল’ হরমোন। সুতরাং অবসাদগ্রস্ত হয়ে এই হরমোনকে কোনও মতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না।