দীর্ঘায়ু পাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
পরমায়ু কিংবা মৃত্যু নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা চলে না। আবার কেবল দীর্ঘায়ু হওয়াই যথেষ্ট নয়, সে ক্ষেত্রে সুস্থ ভাবে বাঁচাও জরুরি। দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য অবশ্যই দরকার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। খাবারদাবার ছাড়াও বদল আনা দরকার জীবনধারাতেও।
ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ কথা কারও অজানা নয়। তবু ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন না অনেকেই। আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর এক সমীক্ষা বলছে, যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের আয়ু ১০ বছর কমে যেতে পারে। নিজে ধূমপান করার চেয়ে পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতি হয় আরও বেশি। তাই সুস্থ ভাবে দীর্ঘ দিন বাঁচতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
মদ্যপান ত্যাগ: ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের উপর চালানো একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, সপ্তাহে ১৪ পেগ মদ্যপান করলে ছ’মাস পর্যন্ত আয়ু কমে যেতে পারে। যাঁরা সপ্তাহে গড়ে ১৪ থেকে ২৫ পেগ মদ খান, তাঁদের আয়ু কমে যেতে পারে এক থেকে দু’বছর। আর যাঁরা সপ্তাহে ২৫ পেগের বেশি অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের আয়ু কমে যেতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত।
কেবল দীর্ঘায়ু হওয়াই যথেষ্ট নয়, সে ক্ষেত্রে সুস্থ ভাবে বাঁচাও জরুরি। প্রতীকী ছবি।
সক্রিয় থাকা: প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যে থাকলে শরীর ও মন, দুই-ই ভাল থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দূরে থাকে ডায়াবিটিস ও সংবহনতন্ত্রের রোগ ও হৃদ্রোগের মতো সমস্যা। মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, এমন কাজ করলে ভাল থাকে মানসিক স্বাস্থ্যও। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। সুস্থ দেহের জন্য সুস্থ মনও অত্যন্ত জরুরি।