চোখের চিকিৎসায় নয়া দিশা? ছবি: সংগৃহীত।
শূকরের চামড়া থেকে তৈরি এক বিশেষ ধরনের কর্নিয়ার সফল প্রতিস্থাপনে দৃষ্টি ফিরে পেলেন ২০ জন। দিল্লি এমস ও ইরানের ফরাবি চক্ষু হাসপাতালে সফল ভাবে শূকরের চামড়া থেকে প্রাপ্ত কোলাজেন ব্যবহার করে তৈরি করা এই কর্নিয়ার পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন করলেন সুইডেনের লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
কোলাজেন এমন একটি টিস্যু যা বিভিন্ন অঙ্গকে ধরে রাখতে সহায়তা করে। মূলত ত্বক ও হাড়ে এই টিস্যু পাওয়া যায়। প্রায় এক দশক ধরে লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা শূকরের দেহ থেকে প্রাপ্ত কোলাজেন নিয়ে গবেষণা করছেন। আর সেই কোলাজেন ব্যবহার করেই তাঁরা সক্ষম হয়েছে কর্নিয়া বানাতে। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ভারত ও ইরানে মানুষের চোখে সেগুলি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রতিস্থাপন করা শুরু হয়। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত রোগীদের পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। গবেষণা সফল হওয়ার পর তা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানপত্রিকা নেচার-এ। এর পর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দ্বিতীয় ধাপে ৪০ জনের চোখে বসানো হবে এই কর্নিয়া।
কর্নিয়ার সমস্যাই অন্ধত্বের সবচেয়ে বড় কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
চোখের একেবারে বাইরের স্তর হল কর্নিয়া। এই কর্নিয়ার সমস্যাই অন্ধত্বের সবচেয়ে বড় কারণ। বর্তমানে ভারতে অন্তত তিন কোটি মানুষ কর্নিয়ার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু চাইলেই কর্নিয়া-দাতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই প্রয়োজন থাকলেও সব ক্ষেত্রে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না। ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি ৭০ জনের মধ্যে একজন কর্নিয়া দাতা খুঁজে পান। তাই গবেষকদের আশা, শূকরের দেহ থেকে যদি কর্নিয়া বানানো যায় তবে সেই কৃত্রিম কর্নিয়া ব্যবহার করে মিটবে ঘাটতি। দৃষ্টি ফিরে পাবেন বহু মানুষ।