এ বার কী ইনজেকশনেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? ছবি- প্রতীকী
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কেবল খাদ্যাভাস নয়, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হতে শুরু করে। এই উপাদান রক্তবাহগুলিকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। ফলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে, রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
তবে এই রোগের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী পদক্ষেপ আনতে চলেছে এক বায়োটেক সংস্থা। এক ইনজেকশনেই জব্দ হবে কোলেস্টেরল। নোবেল পুরস্কারজয়ী জিন এডিটিং প্রযুক্তি ‘ক্রিসপার’ ব্যবহার করেই এই ইনজেকশন তৈরির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। এই নয়া প্রযুক্তি অনেকটা পেনসিল রবারের মতো কাজ করে। যা ডিএনএর-এর একটি অক্ষরকে প্রতিস্থাপন করে অন্য অক্ষর জুড়ে দেয়। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হলে জিন থেকে পিসিএসকে-কে মুছে ফেলা প্রয়োজন। নয়া ইনজেকশনের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টাই করা হচ্ছে।
যাঁদের শরীরে বংশগত কারণে কোলেস্টেরল বাসা বেঁধেছে তাঁদের উপরেই এই নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করার ভাবনা-চিন্তা চলছে। এই সব রোগীদেরই অল্প বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।ভার্ভ নামক বায়োটেক সংস্থার উদ্যোগেই ‘জিন-এডিটিং’ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণকারী এই নয়া প্রতিষেধক প্রস্তুতির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এই পদক্ষেপ যদি সাফল্য পায়, তা হলে তা ব্যক্তির মধ্যেই সীমিত থাকবে। তার পরের প্রজন্মের শরীরে ফের এই রোগ হানা দেবে না, এমন দাবি করা হচ্ছে না।